প্রতিদিন গ্যাস ছাড়া আমাদের দিন অচল কারণ একটাই, আমাদের প্রতিদিনের খাবার বানানোর জন্য অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হলো গ্যাস। তবে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু সচেতন হই তাহলে কিন্তু অনেকটাই গ্যাস অপচয় রোধ করে বেশিদিন গ্যাস ব্যবহার করতে পারি। তাই কিছু সহজ পদ্ধতি যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার উপকারীই হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কয়েকটি পদ্ধতি-
১. ফ্রিজের মধ্যে রাখা কোন খাবার রান্না করার আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা আগে বাইরে বার করে ফেলুন তারপর রান্না করবেন কারণ ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা জিনিস সঙ্গে সঙ্গে রান্না করতে গেলে তা গরম হতে অনেকটা বেশি সময় নেয়।
২. গ্যাসের মধ্যে করায় বাহারি চাপানোর আগে অবশ্যই সেটি শুকিয়ে নিন বা না সকলে গামছা কিংবা শুকনো জিনিস নিয়ে মুছে দিয়ে তারপর আগুন জালানো কারণ ভেজা পাত্র হলে জল শুকোতে গ্যাস খরচ হয়।
৩. গ্যাসের ওপরে যখন করাই বা ফ্রাইং প্যান চাপাবেন তখন কিছুক্ষণ হাই ফ্লেমে রেখে দিয়ে গরম করে নিন তারপর ফ্লেম কমিয়ে দিন। কারণে একবার গরম হয়ে গেলে ততটা তাপের প্রয়োজন হয় না।
৪. রান্না করার আগে অবশ্যই সবজি কেটে নেবেন এবং যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ মসলা বাটা তেল নুন ঝাল এক জায়গায় রাখা এসব করবে না কারণ অনেক সময় করায় বাহারি উনুনে বসি রেখে এসব খুঁজতে থাকেন এতে কিন্তু অনেকটা গ্যাস নষ্ট হয়।
৫. যে সমস্ত পাত্র গুলোতে রান্না করবেন খেয়াল রাখবেন তার নিচের সারফেস টা যেন সমান হয় যাতে তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।
৬. রান্না করার আগে আলুর টুকরো ছোট ছোট করে কাটুন এতে কম গ্যাস খরচ হবে। কারণ এই ছোট ছোট করে কাটা আলু বা সবজি খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়।
৭. অনেকেই আছেন যারা বারবার চা কফি খান সেক্ষেত্রে একটি ফ্লাস্কের মধ্যে একেবারে যা করে তা রেখে দিন এতে কোন গ্যাস খরচ হবে।
৮. রান্না করার জন্য যেটুকু জলের প্রয়োজন সেটুকুই দিয়েন কারণ অত্যধিক জল দিলে তা শুকোতে বেশ সময় লাগে আর এটি বেশি গ্যাস খরচ হয়।
৯. রান্নার ক্ষেত্রে সর্বদা প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন এতে তাড়াতাড়ি খাবার সিদ্ধ হবে এবং গ্যাস কম খরচ হবে।
১০. প্রতিদিন রান্না করার আগে গ্যাসের পাইপ চেক করবেন কারণ গ্যাস পাইপ যদি লিক থাকে সে ক্ষেত্রে অনেক গ্যাস বেরিয়ে যায় এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
গাজীপুর কথা
