ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সাইবেরিয়ার বরফ গলা নিয়ে হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৬ জুলাই ২০২০

সাইবেরিয়ার বরফ গলা নিয়ে হুঁশিয়ারি

বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার তাপমাত্রা ও রাশিয়ার উপকূলজুড়ে আর্কটিক সাগরের বরফ গলে যাবার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বিশ্ব আবহাওয়া দপ্তর এ সপ্তাহে জানায়, সাইবেরিয়ার বহু এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যের চাইতেও বেশি গরম অনুভূত হয়েছে। দপ্তরটি জানায়, অভাবনীয় ও দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ার কারণে আর্কটিক অঞ্চলে অগ্নি-সংযোগ ও বরফ দ্রুত গলতে শুরু করেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

আবহাওয়া দপ্তরের মুখপাত্রী ক্লেয়ার নালিস বলেন, ‘আর্কটিকের গরম আবহাওয়া বিশ্ব গড় থেকে দ্বিগুনের চাইতে বেশি এবং পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন দিন কিন্তু আসতে চলেছে। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণঘাতী অতীতের অনেক মাইক্রোবস ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব উষ্ণায়নে বরফ গলার সঙ্গে সঙ্গেই মৃতদেহে চাপা পড়ে থাকা জীবাণু বাইরে বেরিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা আলাস্কার একটি বরফ হ্রদ থেকে ৩২ হাজার বছরের পুরনো এক ব্যাক্টিরিয়ার খোঁজ পেয়েছেন। এর দুই বছর পর ২০০৭ সালে আন্টার্কটিকার বরফে চাপা পড়ে থাকা ৮০ লক্ষ বছর পুরনো এক ব্যাক্টিরিয়ার সন্ধানও পেয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ১৯১৮ সালে সারা বিশ্বের ত্রাস হয়ে উঠেছিল স্প্যানিস ফ্লু। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই সংক্রমণের জেরে। আলাস্কার তুন্দ্রায় বরফের তলার গণ কবর দেওয়া হয়েছিল মানুষদের। সেই জায়গা থেকেই স্প্যানিস ফ্লু ভাইরাসের জেনেটিক অংশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকী একইভাবে সাইবেরিয়ায় বরফের তলা থেকে গুটি বসন্ত এবং বিউবোনিক প্লেগ-এর ভাইরাসও মিলেছে। ১৮৯০ সালে সাইবেরিয়াতে মহামারি আকার নিয়েছিল গুটি বসন্ত। ৪০ শতাংশ জনবসতি সাফ হয়ে গিয়েছিল এই রোগে।

গাজীপুর কথা