কোলাহলমুক্ত প্রকৃতির মাঝে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভরে উঠেছে রঙিন ফুলে। করোনায় দর্শনার্থী না থাকায় উন্মুক্তভাবে বিচরণ করছে পশুপাখি।
পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে প্রকৃতিতে এসেছে সজীবতা পাশাপাশি একের পর এক প্রাণির বংশ বিস্তার হচ্ছে।
অরণ্যঘেরা বুনোপথে মানুষের আনাগোনা নেই তিন মাসের বেশি সময় ধরে। পশু-পাখির কলরব এখন জোরালো। মানুষের আঁচ পেলেই যে জেব্রা দৌড়ে পালায়, এখন সদ্য জন্ম হওয়া চার শাবক নিয়ে ব্যস্ত খুনসুটিতে। কমনইলেন্দ,পকেট বানর, ওয়াইল্ডবিস্ট, গয়াল হরিণসহ বেশ কিছু পশু-পাখির বংশ বিস্তার হয়েছে মহামারি করোনাকালীন গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।
দর্শনার্থীবিহীন পার্কে দিন-রাত্রীর পুরোটা সময় এখন প্রাণ প্রকৃতির। ফাঁকা পরিবেশ পেয়ে পশুপাখিগুলো খাচ্ছে-দাচ্ছে ঘুরছে।
সৌন্দর্যে যোগ হয়েছে বাইরের পানকৌড়ি ও ডাহুক। পার্কের ভেতরে গাছে গাছে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এরমধ্যে তাদের সংসার জুড়ে এসেছে নতুন অতিথিও। রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে পার্ক, লজ্জাবতীও মেলে দাঁড়িয়েছে। মনের আনন্দে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি। যা করোনা পরবর্তী সময়ে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিবে।
গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান বলেন, যেহেতু পর্যটকের আগমন ছিল না। এবং প্রাণিগুলো পর্যাপ্ত জায়গা ও সময় পেয়েছে, নিরাপত্তাও পেয়েছে। যে কারণে আমাদের প্রাণিগুলো এত এত বাচ্চা দিচ্ছে।
নিরিবিলি পরিবেশ ও প্রকৃতির সজীবতায় বংশ বিস্তার হয়েছে প্রাণিদের আর পাখিরা যেন পেয়েছে তাদের অভয়াশ্রম। এমনটাই মনে করেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কতদিনে বাজারে আসবে দেশীয় করোনার টিকা, জানাল কোম্পানি
গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন মো তবিবুর রহমান জানান, এখানে দেশীয় ও বিদেশি প্রাণি আছে। আমরা নিয়মিত প্রাণিগুলোকে ভ্যাকসিন দিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কে সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার পশু-পাখি রয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে গত ২০ মার্চ থেকে পার্কটি রয়েছে বন্ধ।
গাজীপুর কথা