ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীপুরের টেংরা বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া, খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২১ জানুয়ারি ২০২১

শ্রীপুরের টেংরা বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া, খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন এর টেংরা বাজারে সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন হাট বসে। বর্ষা মৌসুম এলেই সৃষ্টি হতো জলাবদ্ধতা বৃষ্টি হলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয়-বিক্রয় করা থাকতো বন্ধ। সম্প্রতি এলজিএসপি থেকে দুই লক্ষ টাকা ব্যয় করে চল্লিশ ফিট দৈর্ঘ্য ও ত্রিশ ফুট প্রস্থ একটি কাঁচা বাজারের জন্য সেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ছোট পরিসরে আরেকটি সেট নির্মাণ করা হয়েছে।এতে সৌন্দর্য বেড়েছে বাজারের, ক্রেতা-বিক্রেতারা এতে খুবই আনন্দিত।

টেংরা বাজারের চান্দিনা ভিটির জন্য ২০১৩ সালে আবেদন করে ১১ জন দোকানি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক তদন্ত ও বিবেচনার মাধ্যমে বন্দোবস্ত করে নয়জনকে টেংরা মৌজার ১নং খতিয়ানের ৩৪৪০ নং দাগের প্রতিজনকে ২০ বর্গমিটার করে অস্থায়ীভাবে দোকান করার অনুমতি দেন। একশত পঞ্চাশ টাকার দলিলের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ০৭ অক্টোবর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের (ভূম-০৭) অনুযায়ী তৎকালীন (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৬ ইং) শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বাক্ষরিত হাটবাজারের সরকারি খাস জমি একসনা মেয়াদী চুক্তিপত্র হয়। সম্প্রতি ওই হাটের পুরাতন দোকান ভেঙে নতুন করে বাজারের ইজারাদার মোঃ সফিকুল ইসলাম, মিয়া হোসেন ও আব্দুল হেলিম আকন্দ ২০ বর্গ মিটার অনুযায়ী তিনটি দোকান স্থাপন করেছেন।

টেংরা বাজারের চা দোকানী সোহেল মিয়া জানান, ছোটকাল থেকে বাবার সাথে বাজারে আসতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি প্রায় বিশ বছর যাবৎ চা বিক্রি করতেছি, আগের তুলনায় কাস্টমার বেড়েছে, পরিবেশ সুন্দর হয়েছে। সম্প্রতি শহীদুল্লাহ মোল্লা সহ কয়েকজন সবজি ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে বাজারে আসলে কাদার জন্য কাপর-চোপর নষ্ট হয়ে যেত। জলাবদ্ধতা ছিল, এখন বাজারে কোন কাদা মাটি নেই, সে জন্য আরাম-আয়েশে বাজার করে ফেরা যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজারের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম মেম্বার জানান, সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে বাজারে দুটি কাঁচাবাজারে সেট নির্মাণ করায় ব্যবসায়ীরা খুবই খুশি। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটের টাকা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দান করা হয়। এছাড়া কেউ অবৈধভাবে দখল কিংবা জমি দখলে নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, সরকার থেকে টেংরা বাজারে বৈধভাবে অস্থায়ী দোকান স্থাপনার অনুমতি দেওয়া আছে। আমি সরেজমিনে তদন্ত করছি। তিনটি দোকান হয়েছে, আরো দোকানের জায়গা ফাঁকা আছে, যাদেরকে দেওয়া আছে তারা যেকোনো সময় অস্থায়ীভাবে দোকান করতে পারবে। তবে সরকার চাইলে তাদেরকে ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন জানান, সম্পত্তি নতুন করে নবায়ন করা হয়েছে। পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা যাবে না, তবে তাদের পূর্বে থেকে দোকান ঘর থাকলে টিনশেড করতে পারবে সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে।

গাজীপুর কথা