শনিবার (১৬ জানুয়ারি) শিল্পখ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৬৭ হাজার ৯৩৫ জন ভোটার এই প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মোট ২৬টি ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী আনুসাঙ্গীক সরঞ্জাম। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গ্রহণের লক্ষে মাঠে থাকবে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও অনসার সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আনিছুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাড. কাজী খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শাহ আলম। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাত পাখা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাওলানা ফরহাদ মোমতাজী।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, এই প্রথমবারের মতো শ্রীপুর পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ৯টি ওয়ার্ডের ২৬টি ভোট কেন্দ্রে ১৯০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার, পুলিশ সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের টিম ও বিজিবির টহল দল সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল টিম কাজ করবেন।
গাজীপুর কথা