ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

লিলির শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৩০ জুন ২০২০

লিলির শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু লিলির মরদেহ সামনে নিয়ে অঝোরে কাঁদলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জানাজার আগে দীর্ঘ সংসার জীবনে স্ত্রীর সহযোগিতা, ধর্ম পরায়ণতা, সততা আর দায়িত্বশীলতার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে স্ত্রীর শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণও করেন উপস্থিত মুসল্লিদের কাছে।

সোমবার যোহরের নামাজের পর গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর দারুস সালাম গোবরস্থান জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজার পূর্বে স্ত্রীর জন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অন্তিম ইচ্ছা ছিল- কোনো মহামারিতে যেনো তার মৃত্যু হয়। তাহলে শহীদের মর্যাদা পাবে। তার ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। মহামারিতেই মৃত্যু হলো। নিশ্চয়ই সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।’

একমাত্র ছেলে এটি এম মাজহারুল হক তুষারের ইমামতিতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে গাজীপুর শহরে অবস্থিত প্রধান গোরস্থানে সমাহিত করা হয় লায়লা আরজুমান্দ বানু লিলিকে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ জানাজায় অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ জুন) আনুমানিক সকাল পৌনে আটটায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় লায়লা আরজুমান্দ বানু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুন মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু সিএমএইচে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে এলেও লায়লা আরজুমান বানুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৪৯ সালের ৬ জানুয়ারি লায়লা আরজুমান বানু গাজীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ মোবারক জান এবং মাতার নাম লাল বানু। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ লায়লা আরজুমান বানু ১৯৭৪ সালের ১৬ এপ্রিল আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

লায়লা আরজুমান বানু দুই মেয়ে, এক ছেলে এবং ছয়জন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

গাজীপুর কথা