ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ১৮ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র আরাফার ময়দান

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ৩০ জুলাই ২০২০

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র আরাফার ময়দান

আজ পবিত্র হজ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়ার নামই হজ। পবিত্র নগরী মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ স্থানে একত্রিত হওয়া হজের অন্যতম রোকন। ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে আরাফার ময়দানে উপস্থিত না হলে হজই হবে না। 
পবিত্র মক্কা-মদিনায় হাজির হওয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ বৃহস্পতিবার আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন।

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’ মাতা লাকা ওয়ালমুলক লা শারিকা লাকা’ ধ্বনিতে তারা জানান দিচ্ছেন তাদের উপস্থিতির কথা। সঙ্গে পাপমুক্তির বাসনায় মহান আল্লাহর স্তুতি গাইছেন, ‘হে আল্লাহ তোমার কোনো শরিক নেই’।

জিলহজের ৯ তারিখে হাজি সাহেবরা যখন আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন তখন তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে অগণিত রহমত নাজিল হতে থাকে। অসংখ্য আদম সন্তানকে মাফ করে দেয়া হয়। এই অবস্থা দেখে শয়তানের গায়ে জ্বালা শুরু হয়। এবং আরাফার দিন শয়তান যতটুকু রাগান্বিত হয় অন্য কোনো সময় এত রাগান্বিত  হয় না। হাদিসে এসেছে  ‘শয়তান অন্যকোনো দিনে নিজেকে এত ছোট, অপদস্ত মনে করে না যতটুকু আরাফার দিনে মনে করে। ওকে এতবেশি রাগান্বিত কখনো দেখা যায় না যতটুক আরাফার দিনে দেখা যায়। তার এই অবস্থার কারণ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রহমত নাজিল হওয়া এবং অগণিত গোনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক)।

হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেন, আরাফার দিনে যে পরিমান বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা মুক্ত করেন, অন্যকোনো সময়ে তা হয় না। আল্লাহ তায়ালা তখন আপন রহম ও দয়ার গুণের সঙ্গে আরাফায় অবস্থানকারী বান্দাদের কাছাকাছি চলে আসেন। তারপর ফেরেস্তাদের সঙ্গে ফখর করে বলেন, তারা (আরাফায় অবস্থানকারী বান্দারা) কী চায়? (সহিহ মুসলিম)। রহমত ও দয়ার গুণের সঙ্গে আরাফায় অবস্থানকারীদের নিকটে এসে যাওয়ার দ্বারা ইঙ্গিত হচ্ছে বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া।

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজ পালনের এ দিনে হাজিরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। দিনভর চলবে তাদের ইবাদত। মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেন শেখ আবদুল্লাহ বিন সুলাইমান আল-মানিয়া।

প্রতিবছর ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত আরবি ভাষাতেই এ খুতবা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে গত বছর পাঁচটি ভাষায় এ খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়েছিলো। কিন্তু এবার আরবি ছাড়াও ১০টি ভাষায় খুতবা প্রচার হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। অন্য ভাষাগুলো হচ্ছে- ইংরেজি, মালে, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রাশিয়ান এবং হাওসাবি।

এদিন দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, রহমত প্রাপ্তি ও নিজেদের গোনাহ মাফের জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে অশ্রুসিক্ত নয়নে ফরিয়াদ জানান সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

গাজীপুর কথা