ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা, জেনে নিন করণীয়

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৭ আগস্ট ২০২০

মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা, জেনে নিন করণীয়

সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে তৈরি হয় ট্রাফিক আইন। এ ক্ষেত্রে সব যানবাহনকে ট্রাফিক আইন বাধ্যতামূলক মেনে চলতে হবে। আইন অমান্য করলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা বা ট্রাফিক বিভাগ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। সেই পদক্ষেপের মধ্যে জরিমানা পরিশোধসহ আদালতে যাতায়াতের প্রয়োজন পড়তে পারে।

মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স, সাধারণ পরিবহনের জন্য রুট পারমিট, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে মামলা হয়। এছাড়া উল্টো দিকে গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলাও হয়।

তাছাড়া ট্রাফিক আইন না মানা- ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, লাইট না মেনে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে মামলা হতে পারে। আর যানবাহনের বিভিন্ন ত্রুটি বিদ্যমান হলেও মামলা হতে পারে।

মামলা করবেন সড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা। তবে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মোটরযান আইন ছাড়াও নিয়মিত মামলা হতে পারে।

মামলা হলে করণীয়

প্রথমত, রাজধানীর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের চারটি জোন বা এলাকা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ। একজন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি, ট্রাফিক) প্রতিটি জোনের দায়িত্ব পালন করেন।

মোটরযানের বিরুদ্ধে মামলা হলে প্রথমেই জানতে হবে স্থানটি কোন এলাকার আওতাধীন। আর সেটি সহজেই বের করা সম্ভব। কোন ট্রাফিক বিভাগের অধীনে মামলা হয়েছে, সেটি জরিমানার সময় দেয়া টিকিটের পেছনে লেখা থাকে।

দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট জোনের ডেপুটি কমিশনারের দফতরে গিয়ে কিছু দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এতে খুব সহজে মামলা নিষ্পত্তি হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জরিমানা দিতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা মওকুফও করা হয়।

তৃতীয়ত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না করা হলে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর সড়কে সংশ্লিষ্ট গাড়িটি পেলে আটক করে পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে জরিমানার টাকা আদায় হলে গাড়িটি ছেড়ে দেয়ার আদেশ দিতে পারে আদালত।

গাজীপুর কথা