ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৯ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প চলমান

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৫ মে ২০২০

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৯ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প চলমান

বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ১১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার তিনটি বড় প্রকল্প প্রস্তাবনায় রয়েছে; যা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরের চিত্র পাল্টে যাবে। বেড়ে যাবে বন্দরের গতি ও ধারণ ক্ষমতা। ১০ ফিট গভীরতার জাহাজও অনায়াসে বন্দরের জেটিতে এসে ভিড়তে পারবে। সংশ্লিষ্টরা এমনটিই মনে করছেন।    

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশি-বিদেশি জাহাজের অবস্থান নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য ভিটিএমআইএস প্রবর্তন করার জন্য ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৫২ কোটি টাকা। বাস্তবায়নকাল: ২০১৭-১৮ হতে ২০২০-২১। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দর সীমানায় আসা সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে সেবার মান উন্নীত করা যাবে। ভিটিএমআইএস যন্ত্রপাতিসমূহ এ বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মালামাল শিপমেন্টে দুই মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে হিরণ পয়েন্টে ল্যাটিস টাওয়ার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং প্রকল্প এগিয়ে চলছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে এ বছরের ডিসেম্বর। প্রকল্পটির অধীনে ১০৩ দশমিক ৯৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুবিধা সৃষ্টি হবে। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ড্রেজিং কাজ চলছে।

মোংলা বন্দরের জন্য সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বাস্তবায়নে ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্প কাজ এগিয়ে চলছে। এর বাস্তবায়নকাল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১। প্রকল্পটির অধীনে মোংলায় একটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর, সমুদ্রগামী জাহাজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপেয় পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। প্রকল্পের জন্য রিজার্ভার নির্মাণের পাইলিং এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান।

মোংলা বন্দরের হারবার চ্যানেলের ফুড সাইলো এলাকায় ড্রেজিং করার জন্য ৩৬ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকার প্রকল্প আগামী জুনে শেষ হবে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির শুরু হয়। প্রকল্পটির অধীনে ১৩ দশমিক ৩৬ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পাদন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে নির্বিঘ্নে জাহাজ আগমন ও  নির্গমণের পথ সুগম হবে। ইতোমধ্যে ১১ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহে ৪৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়; যা শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালের জুনে। প্রকল্পটির অধীনে বিভিন্ন ধরনের ৬৪টি ইকুইপমেন্ট এবং ১১টি নির্মাণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। ১৯টি ইকুইপমেন্টের এনওএ প্রদান করা হয়েছে। এখন চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে। ৪৫টি ইকুইপমেন্টের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়েছে। ১১টি ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন আছে।

স্ট্র্যাটেজিক মাস্টার প্লান ফর মোংলা পোর্ট প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে জুন ২০২০। এর মাধ্যমে একটি হালনাগাদ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী মোংলা বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরপর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইন্টারিম রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৪০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল: জুলাই-২০১৯ থেকে জুন- ২০২২। প্রকল্পটির অধীনে বিভিন্ন ধরনের ইকুইপমন্টেসহ একটি বর্জ্য সংগ্রহকারী জলযান (মারপল শিপ) সংগ্রহ করা হবে। মোংলা সমুদ্র বন্দর এলাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন বাল্ক, কন্টেইনার, ট্যাংকার ও অন্যান্য জলযান নিসৃত তেল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় ব্লিজ, স্লাজ, বালাস্ট, নিকাশি, বর্জ্য পানি ও অন্যান্য আবর্জনা সংগ্রহের জন্য বর্জ্য সংগ্রহ করা এবং পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইওআই আহ্বান করা হয় এবং বছরের ১ মার্চ তা খোলা হয়। মূল্যায়ন কাজ চলছে। 

মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহে ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। যার মেয়াদ জুলাই-২০১৯ থেকে জুন-২০২২। প্রকল্পটির অধীনে বিভিন্ন ধরনের ছয়টি জলযান সংগ্রহ করা হবে। এর ফলে মোংলা বন্দরে আগত সব সমুদ্রগামী জাহাজ দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়। ড্রেজিং কাজের ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে প্রি-কোয়ালিফিকেশন করার জন্য ইওআই আহ্বান করা হয় এবং তা গত ২৩ মার্চ খোলা হয়েছে। এখন মূল্যায়ন কাজ চলছে। 

বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি-২০২০ থেকে জুন-২০২২। প্রকল্পটির অধীনে বন্দর চ্যানেলের ইনারবারে ২১৬ দশমিক ১৩ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর জেটিতে ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটির গত ২৮ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রিকোয়ালিফিকেশনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল দরপত্র গ্রহণ করা হবে।

পিপিপি এর আওতায় মোংলা বন্দরের দুটি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪১২ কোটি টাকা। বাস্তবায়নকাল: ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২। প্রকল্পটির অধীনে আনুমানিক ইকুইপমেন্টসহ দুটি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক এক লাখ ৪০ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। জেটি নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে এবং গত বছরের ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বাস্তবায়নকাল: অর্থবছর ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২- ২৩। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড, সার্ভিস ভেসেল জেটি, মেরিন ওয়র্কসপ কমপ্লেক্স, বন্দর এলাকায় ৮টি বহুতল ভবন, আকরাম পয়েন্টে ভাসমান সার্ভিস টার্মিনাল নির্মাণ, বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ, ১১টি বিভিন্ন ধরনের জলযান সংগ্রহ, একটি ট্রেলিং সাকশান হপার ড্রেজার সংগ্রহ, জেটি হতে জয়মনিরগোল পর্যন্ত ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তায়িত হলে মোংলা বন্দরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। প্রকল্পটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

মোংলা বন্দরের বিদায়ী চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মোংলা বন্দরের গতি বাড়াতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কর্যক্রমে নতুন ধারা যুক্ত হবে।

বন্দরের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান জহিরুল হক জানান, মোংলা বন্দরের উন্নয়নমূলক কোনও কাজেই করোনার প্রভাব নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব রকমের প্রক্রিয়া ঠিক রেখে কাজ গতিশীল রাখা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ প্রকল্প

মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ৪ হাজার ৪৭৭ কোটি ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। যার বাস্তবায়নকাল ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২। মোংলা বন্দরের ক্রমবর্ধমান কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মিত হলে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে বছরে ৫ লাখ  টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। প্রজেক্ট কনসেপ্ট পেপারটি চীন কর্তৃক মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বরের সভায় জানানো হয়। মোংলা বন্দরের ক্রমবর্ধমান কন্টেইনার সংরক্ষণ ও হ্যান্ডলিংয়ের জন্য একটি কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। মোংলা বন্দরের ক্রমবর্ধমান কন্টেইনার সংরক্ষণ ও হ্যান্ডলিং এর জন্য ৯ নম্বর জেটির পশ্চাতে একটি কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। আমদানিকৃত গাড়ি পরিকল্পিত উপায়ে সংরক্ষণের জন্য ন্যূনতম ৪ হাজার গাড়ি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বহুতল কার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। কার ইয়ার্ড নির্মিত হলে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানীকৃত ন্যূনতম ৪ হাজার গাড়ি সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। পশুর চ্যানেল হতে ৫টি ডুবন্ত রেক উত্তোলন করা হবে। ডুবন্ত রেক অপসারিত হলে পশুর চ্যানেলে পলিজনিত সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। ফলে বন্দরে আরও বড় জাহাজ চলাচল নিরাপদ হবে। মোংলা বন্দরের প্রধান সড়ক ছয় লেনে ও বাইপাস সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে।

পদ্মা সেতু ও খুলনা-মোংলা রেললাইন স্থাপন কাজ সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে মোংলা ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ব্যক্তিমালিকানায় শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ফলে ওই এলাকায় উৎপাদিত পণ্য এবং আমদানি-রফতানি পণ্য পরিকল্পিত উপায়ে নির্বিঘ্নে পরিবহন করা সম্ভব হবে। ৫ হতে ৯ নম্বর জেটি সম্মুখে শিট পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে। শিট পাইলিং এর কাজ সম্পন্ন করা হলে জেটির সম্মুখে নাব্যতা সংরক্ষণ করা সহজতর হবে এবং ৫টি জেটি ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

মোংলা বন্দরের জন্য একটি ট্রেলিং সাকশান হপার ড্রেজার সংগ্রহ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৩২০ কোটি টাকা বাস্তবায়নকাল: ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০। প্রকল্পটির অধীনে একটি ট্রেলিং সাকশান হপার ড্রেজারসহ একটি মুরিং গিয়ার পন্টুন সংগ্রহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের ১৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা সংরক্ষণ করা সহজ হবে। প্রকল্পটি চীন সরকারের বিবেচনায় আছে। গতি মন্থর হওয়ায় জিওবি অর্থায়নে ড্রেজার সংগ্রহের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বন্দরের জেটির পাইলসমূহের ক্ষয়রোধক ও ফেন্ডার প্রতিস্থাপন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৩৮ কোটি ৬১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২২। এ প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দরের জেটির ৩৪২টি রাবার ফেন্ডার সংগ্রহ ও প্রতিস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মোংলা বন্দরের ভূমিকা বৃদ্ধি করা।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন