ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

‘মিষ্টি মরিচে’ স্বপ্ন দেখছেন ঝিনাইদহের যুবকরা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৯ জানুয়ারি ২০২১

‘মিষ্টি মরিচে’ স্বপ্ন দেখছেন ঝিনাইদহের যুবকরা

প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে এখনো তেমন প্রচলিত না হলেও অনেক সৌখিন চাষি ও বেকার যুবক শুরু করেছেন ‘মিষ্টি মরিচ’ নামে পরিচিত সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এ সবজি সারাবিশ্বে অনেক জনপ্রিয়। এ কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নেওয়াজ শরীফের মতো যুবকরা রফতানির লক্ষ্য নিয়ে এই ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন।

দেশে ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশেও রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

প্রথমবারের মতো ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছেন শৈলকুপা পৌর এলাকার পাঠানপাড়ার নেওয়াজ শরীফ। গ্রামের ৪০ শতাংশ জমিতে লাগানো হয়েছে পাঁচ হাজার চারা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞানের ছাত্র নেওয়াজ জানান, ৪০ শতাংশ জমিতে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত তার খরচ হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা। জমি থেকে পাঁচ টন ফল তোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার স্বাভাবিক বাজার মুল্য কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাধ্যে তাইওয়ান জাতের এ সবজি বেলে-দোআঁশ মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী। চাষের মাত্র চার মাস পরই ফল তোলা যায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চের শুরুতেই সবুজ ক্যাপসিকাম তোলার উপযোগী হবে।

সরেজমিনে শৈলকুপার পাঠানপাড়া গ্রামে দেখা গেছে, মাঠে পরিচ্ছন্ন পরিপাটি ক্যাপসিকাম ক্ষেতের চারিদিকে বেষ্টনী। রয়েছে সেচ ব্যবস্থা ও পাহারাদার। ক্যাপসিকাম চাষে নেওয়াজ শরীফকে পর্যাপ্ত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকরাম হোসেন জানান, প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ‘মিষ্টি মরিচ’ খাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। এ সবজির চাষ লাভজনক। পাঠানপাড়ার শিক্ষিত যুবক নেওয়াজ শরীফের ক্ষেতটি নিয়মিত দেখভাল করা হয়। তাকে দেখে অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

গাজীপুর কথা