গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৪০ ভাগ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে ৩৯টি কোম্পানিকে ৯৭ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এখানে ১ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।
১৯৯৯ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৩৫৫ একর জমির ওপর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরই মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ। বরাদ্দ দেয়া কোম্পানিগুলো এ পর্যন্ত ৩শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এসব কোম্পানি হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার, আইওটি, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা সেন্টার, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সংযোজন এবং উৎপাদনসহ বিভিন্ন উচ্চপ্রযুক্তি বিষয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, তাদের মূল ফ্যাক্টরি বিল্ডিং শেষ পর্যায়ে আছে, কয়েকদিনের মধ্যে ওপেন হবে। কেমন নামে অন্য একটি কোম্পানি ফাইভার অপটিক ক্যাবল নির্মাণ করে, ওরা তাদের কাজ করছে এবং মার্কেটে সাপ্লাই দিচ্ছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাইটেক সিটির অভ্যন্তরে ডাটা সেন্টার ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানিগুলো তাদের কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২০৩০ সালে পার্কটির শতভাগ উন্নয়নের কথা রয়েছে। কর্মসংস্থান হবে ১ লাখ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৩৫৫ একরের কাজ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ইউটিলিটি এবং ইনফ্রাস্টাচারাল বেইজ কাজগুলো শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন বিনিয়োগ আকর্ষণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের। ৩৫৫ একরের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে তখন এখানে ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব।
দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গাজীপুর কথা
