চার মাসের অবসরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। করোনায় দর্শনার্থী না থাকায় খোলামেলা পরিবেশে বিচরণ করছে পশুপাখি। গাছে গাছে ঝুলছে পাখির বাসা। নিরাপদ পরিবেশে ব্যাপক প্রজননে পার্কটি হয়ে উঠেছে অভয়ারণ্য। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সময়ে বেড়েছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক ও জেব্রা। বংশ বিস্তার হয়েছে কমনইলেন, ওয়াইল্ডবিস্ট, গয়াল হরিণসহ বেশ কিছু পশু-পাখির।
অরণ্যঘেরা বুনোপথে মানুষের আনাগোনা নেই। চারদিকে শুধু পশু-পাখির ডাকাডাকি।
আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের জেব্রাও গাজীপুরের ভাওয়াল জঙ্গলকে আপন করে নিয়েছে। দু মাস আগেই পরিবারে এসেছে নতুন সদস্য। তাকে নিয়ে সংখ্যা দাঁড়ালো আঠারতে।
দুই বছর আগে জন্ম নেয়া সাদা এ্যালবিনো বাঘ শাবকটি বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে। সুন্দরবনের রাজা বেঙ্গল টাইগারও গর্জনে মাতিয়ে রাখছে সাফারি পার্ক। ২০১৩ সালে আফ্রিকা থেকে আনা হয় ৬টি বাঘ, সাত বছরে জন্ম নিয়েছে আরো ৭টি।
একটু এগিয়ে গেলেই আফ্রিকান সিংহের বাড়ি। সময়টা দুপুর তাই জিরিয়ে নিচ্ছে সিংহের দল। সাফারি পার্কে এ পর্যন্ত ১১টি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে, সংখ্যা হয়েছে ১৬। এশিয়ার বিলুপ্ত প্রায় কালো ভাল্লুক নিজ ডেরায় রয়েছে বেশ সাচ্ছন্দে। ছয় মাস আগে দুইটি বাচ্চা জন্ম দিলেও বাঁচানো গেছে একটিকে। সাফারি পার্কে এখন ভালুক আছে ১২টি।
পার্কের দিন-রাত্রীর সবটাই এখন প্রাণ প্রকৃতির দখলে। নির্জনতায় সংসার পেতেছে পানকৌড়ি ও ডাহুক। তাদের ঘরেও এসেছে নতুন অতিথি।
বন্যপ্রাণির খাবার জোগান দিতে শতাধিক প্রজাতির বিলুপ্ত ও বিপন্ন জাতের বিশ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। বর্ষায় সেগুলো তরতর করে বেড়ে উঠেছে। মাত্র সাত বছরেই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ৪ হাজার পশু-পাখির মিলন হয়েছে।
গাজীপুর কথা