ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ধনী হওয়ার আশায় গাজীপুরে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ৩০ জুলাই ২০২০

ধনী হওয়ার আশায় গাজীপুরে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা

বাবা-মা কর্মস্থলে থাকায় বাড়িতে একাই ছিল প্রতিবন্ধী শিশু ফাহিম। এই সুযোগে ধনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তামিম হোসেন কৌশলে সাত বছরের ফাহিমকে অপহরণ করে। পরে পাশের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি রুমের তালা ভেঙে ফাহিমের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে।
একপর্যায়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তামিম। এরপর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ফাহিমের মরদেহ ফেলে দেয় ঝোঁপের ভেতর। 

শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার বাবার কাছে মোবাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তামিম। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা তামিমকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে ফাহিমকে হত্যার রহস্য। 

বুধবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ এর গাজীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অপহরণের একদিনের মধ্যে মূলহোতা তামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তামিম হবিগঞ্জের রাখাইকালো থানার সুজনপুর গ্রামের রইস উদ্দিনের ছেলে ও গাজীপুর মহানগরের শিববাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের নলজানী এলাকার বাসিন্দা মো. কামরুল ইসলামের ছেলে ফাহিম নিখোঁজ হয়। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান পায়নি স্বজনরা। রাতেই ফাহিমের বাবা বাসন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। রাতে ফাহিমের বাবার মোবাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে কল আসে। মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ফাহিমের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধারে র‌্যাব-১ এর সহযোগিতা চায়। এরপরই গাজীপুর ক্যাম্পের একদল র‌্যাব সদস্য ফাহিমকে উদ্ধারে মাঠে নামেন। এদিন সন্ধ্যায় ভাড়া বাসার পাশে ঝোঁপের ভেতর থেকে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে থাকা ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, এর আগে মহানগরের শিববাড়ি এলাকা থেকে এ ঘটনার মূলহোতা তামিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব। 

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন