ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দেশের প্রথম ভার্চুয়াল জব ফেস্টে চাকরি পেলেন ৬ শতাধিক প্রার্থী

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১১ জুলাই ২০২০

দেশের প্রথম ভার্চুয়াল জব ফেস্টে চাকরি পেলেন ৬ শতাধিক প্রার্থী

দেশের শীর্ষস্থানীয় চাকরির পোর্টাল স্কিল ডট জবস ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘ভার্চুয়াল জব ফেস্ট-২০২০’ এ ৬ শতাধিক প্রার্থীর কর্মসংস্থান চূড়ান্ত হয়েছ। একইসঙ্গে আরো পাঁচ শতাধিক প্রার্থীর কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মেধাভিত্তিক কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন বা যারা করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বপ্নের চাকরিটি হারিয়েছেন মূলত তাদের জন্য স্কিল ডট জবস ও বিএসএইচআরএম এ ফেস্টের আয়োজন করে।

শনিবার (১১ জুলাই) স্কিল জবসের ফেসবুক পেজে মাসব্যাপী আয়োজিত এ ‘ভার্চুয়াল জব ফেস্ট-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে পরিবর্তিত দুনিয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। সেই বদলে যাওয়ার দুনিয়ার জন্য এখনই নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। সেজন্য যে কাজগুলো করা দরকার তা ড্যাফোডিলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, পৃথিবীতে এখন চলছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এই বিপ্লব যেন আমরা মিস না করি সেজন্য জাতিগতভাবে চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আমাদেরও মানব সম্পদকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না আমরা এখন জনমিতির সুবিধা ভোগ করছি। অর্থাৎ আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই তরুণ। এদেরকে কাজে লাগাতে হবে। পৃথিবীর যেসব দেশ এই জনমিতির সুবিধা ব্যবহার করতে পেরেছে তারাই উন্নতি করতে পেরেছে।

ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, অর্থনীতিতে জিগ ইকোনোমি বলে একটি শব্দ আছে। এর মানে শুধু ফ্রিল্যান্সিং নয়, বরং ভার্চুয়াল সব ধরনের কাজকেই জিগ ইকোনোমি বলা হয়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সারা পৃথিবীতেই জিগ ইকোনোমির প্রসার বেড়েছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নিজের ভার্চুয়াল দক্ষতা বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির তার বক্তব্যে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা এখন হোম অফিস করছি। কিন্তু হোম অফিসের এই ধারণা নতুন নয়। অন্তত চল্লিশ বছর আগেও মানুষ হোম অফিস করত। তখন টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে হোম অফিস করা হতো। এখন ইন্টারনেটের কারণে হোম অফিস আরও সহজ হয়েছে।

সামনের দিনগুলোতে হোম অফিসের ব্যবহার আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেই ভার্চুয়াল কাজ শেষ হয়ে যাবে না। বরং আরও বাড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলটাইম কর্মীর পরিবর্তে পার্ট টাইম কর্মীকে বেশি নিয়োগ দিবে।

গাজীপুর কথা