দেশে উৎপাদিত সিলভার নিডল গ্রেডের হোয়াইট টি প্রথমবারের মতো নিলামে উঠেছে। নিলামে ওঠা এই হোয়াইট টি’র পরিমাণ ছিল মাত্র ১০ কেজি। প্রতি কেজি চা বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার টাকা দরে। এই চা কিনে নিয়েছে চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা পদ্মা টি সাপ্লাই।
সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। মৌলভীবাজারে অবস্থিত ন্যাশনাল টি কোম্পানির চাম্পারায় চা-বাগানে উৎপাদিত দশকেজি হোয়াইট টি চট্টগ্রাম নিলামে ক্যাটালগভূক্ত করেছে পূর্ব বাংলা ব্রোকার্স লিমিটেড।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্রের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো হোয়াইট টি নিলাম বাজারে উঠে এবং সবটুকু চা-ই বিক্রি হয়ে যায়। এই চায়ের গ্রেড সিলভার নিডল। এ চায়ের জন্য বিশেষ যত্ন ও সতর্কতায় শুধু কুড়িটাই সংগ্রহ করা হয়। দেশের কয়েকটি চা-বাগানে সীমিত পরিসরে এ চা উৎপাদন হচ্ছে। যার ক্রেতা বিদেশি ও পর্যটক এবং দেশের সৌখিন চা-পায়ীরা।
এই চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজারের চাম্পারায় চা-বাগানের ব্যবস্হাপক মো. শামসুল ইসলাম সেলিম বলেন, হোয়াইট টি উৎপাদনের জন্য আমরা একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আগামীতে আমরা হোয়াইট টি’র আবাদ আরো সম্প্রসারণ করব।
শ্রীমঙ্গলের পদ্মা টি সাপ্লাইয়ের স্বত্বাধিকারী মেঘনাদ হাজরা বলেন, ‘দামি ও বিরল এই চা নিলামে ক্রয় করতে পরে আমি খুশি।’ তবে এই চা ক্রয়ের জন্য ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীনটি’র চেয়ে অধিক কার্যকর হোয়াইট টি। তবে হোয়াইট টি মূলত সাদা নয়। দেখতে অনেকটা গ্রীনটি’র মতো। তবে ফ্যাকাশে হলদেটে রঙ। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রাথমিকভাবে এই চা উৎপাদিত হয়েছিল বলে জানা যায়। এ চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ,ইমুইন সিস্টেম বাড়ায়, রক্তচাপ কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ওজন কমায়, দাঁতকে ব্যাকটিরিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও ডায়াবেটিস কমায়।
গাজীপুর কথা