ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টেক্সাসে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা সংক্রমণে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

টেক্সাসে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা সংক্রমণে শিশুর মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার সংক্রমণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই শিশুটির বয়স ৬ বছর। এই ঘটনার পর টেক্সাস কর্তৃপক্ষ দুর্যোগকালীন সতর্কতা জারি করেছে।

ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তার দেহে অ্যামিবা সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে টেক্সাসের বিভিন্ন শহরে সরবরাহকৃত পানিতে অ্যামিবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

কয়েকদিন আগেই ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। তবে প্রথমদিকে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানান যে, তার দেহে ‘নেগলেরিয়া ফাওলেরি’ নামের এককোষী প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এরপরেই টেক্সাসের বিভিন্ন স্থানের পানি পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে ওই অঙ্গরাজ্যের ৮টি শহরে সরবরাহকৃত পানি পানে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

এ ধরনের জীবানু সাধারণ নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এবং এরপর মস্তিষ্কে চলে যায়। এর ফলে প্রচন্ড মাইগ্রেনের সমস্যা, হাইপারথার্মিয়া, বমি, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বিভ্রান্তি এবং স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়।

লেক জ্যাকসন শহরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই শিশুটির বাড়ির বাগানের ট্যাপের পানিতে অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গেছে। যেসব এলাকার পানিতে এ ধরনের জীবানু পাওয়া গেছে সেখানে দুর্যোগকালীন সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্রেজোস্পোর্ট অথরিটির সরবরাহকৃত পানি পানে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস কমিশন অন ইনভাইরনমেন্টাল কোয়ালিটি।

শিশুটির দাদা-দাদি বলছেন, হয়তো সে খেলার সময় বাগানের ট্যাপ থেকে পানি পান করেছিল। এরপরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ওই এলাকার বাসিন্দাদের ট্যাপের পানি পান, গোসল এবং রান্নায় ব্যবহার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। টেক্সাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ওই শহরে ‘নেগলেরিয়া ফাওলেরি’ অ্যামিবা সংক্রমণে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) জানিয়েছে, এ ধরনের ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা সাধারণত মাটি, উষ্ণ পানির লেক, নদী এবং উষ্ণ ঝরনার পানিতে পাওয়া যায়।

সুইমিংপুলে অপরিষ্কার এবং জীবানুমুক্ত না করা পানি ও শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন জায়গাতেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মিলতে পারে।

টেক্সাসের লেক জনসন, ফ্রিপোর্ট, অ্যাংলেটন, ব্রাজোরিয়া, রিচউড, ওয়েস্টার ক্রেক, ক্লুট এবং রোজেনবার্গের বাসিন্দাদের সরবরাহকৃত পানি পান না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রিপোর্টের ডো কেমিক্যাল প্লান্ট এবং ওয়েনি স্কট টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল জাস্টিসের বিভিন্ন ভবনেও পানি পানে সতর্ক করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা