ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম প্রিমিয়ার লিগের নতুন ভেন্যু

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম প্রিমিয়ার লিগের নতুন ভেন্যু

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২০-২১ মৌসুমের জন্য চারটি ভেন্যু অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যার মধ্যে নতুন ভেন্যু টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম। অন্য তিনটি পুরনো-রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, কুমিল্লার ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম এবং নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম।

করোনাভাইরাসের কারণে ক্লাবগুলোর ভ্রমণ কমাতে এবার ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, নীলফামারীর শহীদ শেখ কামাল স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম।

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম ভেন্যুর তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। প্রথমে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামকে ভেন্যুর তালিকায় রেখেছিল বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি। কিন্তু ওই স্টেডিয়ামে বিদেশিদের খেলাতে হলে প্রতি ম্যাচেই ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। যে কারণে বাফুফে বেছে নিয়েছে দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেডিয়ামটি। প্রসঙ্গত, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পুত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

তবে নতুন এ ভেন্যুতে আকৃষ্ট হয়নি কোনো দলই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবের মধ্যে কেউই এখনো এ স্টেডিয়ামকে ‘হোম ভেন্যু’ হিসেবে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বাফুফের কাছে। বরাবরের মতোই ক্লাবগুলোর আকড়ে থাকতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ১৩ ক্লাবের মধ্যে ৭টিরই নজর রাজধানীর এ স্টেডিয়ামের দিকে।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র গত মৌসুমে ‘হোম ভেন্যু’ করেছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে। এ ভেন্যুটি বাতিল হওয়ায় তারা এবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম চেয়েছে। আবাহনী আগের মতোই থাকবে দেশের প্রধান এ স্টেডিয়ামে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, উত্তর বারিধারা ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে ‘হোম ভেন্যু’ করার আবেদন করেছে।

চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের গত মৌসুমে ‘হোম ভেন্যু’ ছিল নীলফামারীর শহীদ শেখ কামাল স্টেডিয়াম। ভেন্যুটি বাতিল করায় এবার তারা মোহামেডানের সঙ্গে যৌথভাবে ঘরের মাঠ বানাচ্ছে কুমিল্লার ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে। গত মৌসুমে মোহামেডানের কল্যাণে এ স্টেডিয়ামটি অভিষেক হয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু হিসেবে। এবার দুই দলের হোম ভেন্যু সদ্য প্রয়াত ফুটবলার বাদল রায়ের শহরের স্টেডিয়ামটি। গত মৌসুমে যার উদ্যোগেই মোহামেডান নিজেদের ঘরের মাঠ বানিয়েছিল ভেন্যুটিতে।

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের গতবারের ‘হোম ভেন্যু’ ছিল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম। ভেন্যুটি বাতিল হওয়ায় এবার সাইফ হোম ভেন্যু করতে চাচ্ছে নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামকে। বাফুফের কাছে ওই স্টেডিয়ামকে ‘হোম ভেন্য ‘ করার আবেদন করলেও তারা এখন পর্যন্ত নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছ থেকে ভেন্যু নিয়েছে সেই কাগজ-পত্র জমা দেয়নি।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন এ মৌসুমে সবকিছুতেই পিছিয়ে। সময়মতো দলবদল না করায় ক্লাবটির প্রিমিয়ার লিগে খেলা এখনো অনিশ্চয়তায়। বাফুফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটির হাতে তাদের ভাগ্য ঝুলে আছে। সাংগঠনিকভাবে যেমন এলোমেলো দলটি, তেমন মাঠেও। ফেডারেশন কাপে ৩ ম্যাচে ১১ গোল খেয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। প্রিমিয়ার লিগ খেলার সুযোগ পেলে কোন মাঠকে ‘হোম ভেন্যু’ বানাবে সেজন্য বাফুফের কাছে ক্লাবটি আবেদনই করেনি। যেমন করেনি চট্টগ্রাম আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের আগের ভেন্যু ছিল গোপালগঞ্জ। অথচ আর মাত্র ১৫ দিন পর শুরু হবে লিগ।

নিজের পিতার নামের স্টেডিয়ামটি ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসর প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু করায় খুশি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। যদিও এ স্টেডিয়ামে কোন দল নিজেদের ‘হোম ভেন্যু’ করবে, সেটি নিশ্চিত নয়। কোনো দল স্টেডিয়ামকে ‘হোম ভেন্যু’ করার আবেদন না করা প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই স্টেডিয়ামটি আরচারি ব্যবহার করে। এখনো পুরো গ্যালারি হয়নি। যে কারণে হয়তো ফুটবলের দলগুলোর পছন্দ হয়নি। তবে স্টেডিয়াম সংস্কার ও পুরোপুরি গ্যালারিও তৈরি করা হবে। তখন বড় দলগুলোর দুই একটা নিশ্চয় হোম ভেন্যু বানাবে। কারণ, স্টেডিয়ামটি ঢাকার কাছাকাছি। কোনো ক্লাব চাইলে উত্তরায় আবাসিক ক্যাম্প করে এই স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু বানাতে পারবে।’

গাজীপুর কথা