ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টঙ্গীতে রেশন কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১৮ এপ্রিল ২০২০

টঙ্গীতে রেশন কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ

টঙ্গীতে শুক্রবার রাতে স্থানীয় মাছিমপুর গাজিবাড়ি ও মধুমিতা এলাকার দরিদ্র অসহায় দিন মজুরদের সরকারি রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, দুই কপি ছবি ও ১/২শ করে টাকা নেয়ার অভিযোগে দুলাল মিয়া (৪৫) ও ওসমান আলী (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, দুলাল মিয়ার নির্দেশে তুরাগ বাসের চালক ওসমান আলী স্থানীয় মাছিমপুর গাজিবাড়ি ও মধুমিতা এলাকার প্রায় ৩শ অসহায় দরিদ্র দিন মুজুরদের গরীবের ব্যাংক সমিতির মাধ্যমে সরকারী রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও দুই কপি ছবিসহ টাকা নিতে থাকে। বিষয়টি এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে তারা পূর্ব থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ মাছিমপুর এলাকা থেকে শতাধিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবিসহ ওসমান আলীকে ওসমান আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওসমান আলী জানায়, সে দুলাল মিয়ার কথা অনুযায়ী লোকজনের কাছ থেকে টাকা ও ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেছি। এদিকে ওসমানকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে দুলাল মিয়া ওসমানকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় গেলে পুলিশ তাকে আটক করে।

মধ্য বয়সী এক মহিলা নাম প্রকাশে না করার শর্তে থানায় এসে জানায়, দুলাল মিয়া মধুমিতা এলাকায় স্থাপিত গরীবের ব্যাংক নামক একটি সমিতিতে কাজ করার সুবাদে এবং ওই সমিতির মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র অসহায় মানুষদের সরকারি রেশন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ওসমানকে দিয়ে টাকাসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি সংগ্রহ করতে থাকে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয় এবং তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওসমানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার স্থায়ী এবং বর্তমান আরিচপুর বাসিন্দা ওই মহিলা নিজেকে গরীবের ব্যাংক সমিতির একজন গ্রাহক এবং সমিতির সদস্য সংগ্রহকারী বলেও জানান।

দুলাল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আর ওসমান আলী বি বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার বালুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওসমান আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের জিগ্গাসাবাদে ওসমান আলী জানায়, সে দুলাল মিয়ার কথা অনুযায়ী লোকজনের কাছ থেকে টাকা ও ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেছি।

গাজীপুর কথা