ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টঙ্গীতে প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২৮ অক্টোবর ২০২০

টঙ্গীতে প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ

গাজীপুরের টঙ্গীর ক্যাথারসিস মেডিকেল সেন্টারে (ক্যাথারসিস হাসপাতাল) মাহমুদা আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই প্রসূতিকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করে পেট থেকে গজ বের করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) রোগীর স্বামী আলকাছ উদ্দিন আহাম্মেদ বাদী হয়ে ক্যাথারসিস হাসপাতালের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও ডা. আহসানা আক্তার তারাকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আলকাছ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গত ১৮ আগস্ট তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে টঙ্গীর শিলমুনের ক্যাথারসিস হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা না করে দ্রুত সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করার পরামর্শ দেন। অন্যথায় রোগীর অবস্থা খারাপ হবে বলে ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে নিরূপায় হয়ে রোগীর সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করার জন্য রাজি হন তিনি।

ওইদিন বিকেলে ডা. আহসানা আক্তার তারা সিজার করলে মাহমুদা কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গত ২০ আগস্ট মাহমুদা ও সদ্যজাত কন্যাশিশুকে নিয়ে পূবাইলের মেঘডুবি গ্রামে চলে যান স্বজনরা।

আলকাছ উদ্দিন আহাম্মেদ আরও জানান, বাড়িতে যাওয়ার কিছুদিন পর সিজারের সময় সেলাই করা স্থানে ইনফেকশন দেখা দিলে মাহমুদাকে পুনরায় ক্যাথারসিস হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় না করে শুধু ড্রেসিং করে তাকে বিদায় করেন। এরপর মাহমুদা সোমবার (২৬ অক্টোবর) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক ডা. কিবরিয়া অপারেশন করে পেটের ভেতর থেকে গজ বের করেন। বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ক্যাথারসিস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহসানা আক্তার তারার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মুঠোফোন নম্বর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলী আহাম্মেদ বলেন, থানা থেকে এখনও এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়টি। বিষয়টি আমরা মিটিং ডেকে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

গাজীপুর কথা