গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি বাড়ির লিফটের নিচ থেকে কাজী আব্দুল হালিম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যার পর ওই ব্যক্তির মরদেহ লিফটের নিচে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
কাজী আব্দুল হালিম বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার চাপাচিল গ্রামের মৃত মিমির আলীর ছেলে। পুলিশের উপপরিদর্শক কায়সার আহমেদ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক লিটন ও শরিফকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হালিম পেশায় একজন ঝুট ব্যবসায়ী। তিনি গাজীপুরা পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার বিকেলে ওই মরদেহ পঁচে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লিফট খুলে নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী লায়লা বেগম জানান, গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরা এলাকার শরিফুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে বোনের বাসায় যান হালিম। বুধবার সকাল থেকে হালিম নিখোঁজ হলে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। শনিবার দুপুরে পুলিশ মরদেহ শনাক্তের জন্য আমাকে ফোন করেন।
হালিমের বোন বিলকিস জানান, গত শুক্রবার আমার স্বামী মারা যান। আমি একা বাসায় ছিলাম, তাই আমাকে সঙ্গ দিতে আমার ভাই বাসায় এসে থাকছিলেন। গত বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে আমার ভাই বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গাজীপুর কথা