ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জুমার দিনে মৃত্যু ঘটলে কী ফজিলত জেনে নিন

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৬ এপ্রিল ২০২১

জুমার দিনে মৃত্যু ঘটলে কী ফজিলত জেনে নিন

প্রতি সপ্তাহের সেরা দিন হলো শুক্রবার অর্থাৎ জুমআর দিন। পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস বলা এটিকে। জুম্মা নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরাও রয়েছে। জুমার দিনে মৃত্যু ঘটলে কী ফজিলত জেনে নিন।

জুমার এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা জগৎ এর সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন। হাদিসে জুমার দিনের মর্যাদা বর্ণনায় বিশ্লেষণধর্মী একটি বর্ণনাও করেছেন হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, (কুরআনে) আল-ইয়ামুল মাওউদ কিংবা প্রতিশ্রুতি দিবস হলো কিয়ামাতের দিন। কারণ হলো কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ তাআলা স্বয়ং কুরআনে ঘোষণা করেছেন। মাশহুদ অর্থই হলো যাকে হাজির করা হয়। এই দিবসে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ আরাফাতের ময়দানে হাজির হন। শাহেদ হলো যে হাজির হয়। অর্থাৎ জুমআর দিন প্রতি ৭ দিন অন্তর অন্তর একবার মানুষের নিকট উপস্থিত হয়।

হাদিসে এসেছে যে, এমন কোনো দিনে সূর্য উদয়াস্ত হয় না, যেদিন জুমআর দিন হতে উত্তম। এই দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে; যদি কোনো মুমিন বান্দা তা পেয়ে যান এবং আল্লাহর নিকট কোনো কল্যাণের প্রার্থনা করেন, আল্লাহ তাআলা তা মঞ্জুরও করেন।

কোনো বান্দা যদি অকল্যাণ হতে রেহাই চান, তবে আল্লাহ তাআলা তাকে রেহাই দান করেন। (মুসনাদে আহমদ)

এটি হলো দুনিয়ার জিন্দেগিতে জমুআর দিনের ফজিলত। যদি কোনো ব্যক্তি জুমআর দিনে মৃত্যুবরণ করেন, তার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে যে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, যে কোনো মুসলমান জুমার দিনে বা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা তাঁকে কবরের ফিতনা হতে নিরাপদ রাখেন। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, বাইহাকি, মিশকাত) এই হাদিসটির ব্যাখ্যায় আরও এসেছে যে, ফিতনা দ্বারা কবরের মুনকার-নাকিরের জিজ্ঞাসাবাদ বা কবরের আজাবকে বুঝানো হয়েছে। হজরত আবু নুআ’ইম তার হিলয়া’ গ্রন্থে হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে একটি হাদিসও বর্ণনা করেছেন, যাতে কবরের আজাবের কথা সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

জুমআ প্রতি সাতদিনে একবার করে যেহেতু মুসলিম উম্মাহর নিকট উপস্থিত হয়। সুতরাং সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমার দিনকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ইবাদাত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা প্রয়োজন। যারা জুমার দিনের হক আদায় করেন; ইবাদাত-বন্দেগি তথা দোয়া কবুলের সময় দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণ কামনার চেষ্টা করেন। আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা সে সকল বান্দাকে দুনিয়া এবং পরকালে কামিয়াবী দান করবেন।

মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিনের হক আদায় করার ও ইবাদাত করার তাওফিক দান করুন। জুমার দিন আমাদের ঈমানি মৃত্যু নসিব করুন- আমিন।

গাজীপুর কথা