ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জনসাধারণের প্রশংসায় ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ৪ অক্টোবর ২০২০

জনসাধারণের প্রশংসায় ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন

নানা উদ্যোগ-সাফল্যে জনসাধারণের প্রশংসায় ভাসছেন ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। ইতোমধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগে তিনি জনগণের আস্থা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

বিশ্বের উন্নত দেশের জনগণ বিপদে-আপদে পুলিশকে পরম বন্ধু হিসাবে দেখে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুলিশও যে জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে সেই প্রত্যয়ে তিনি জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পুলিশ কতটা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি মাঝে-মধ্যে ক্ষুণ্ণও হচ্ছে। তবে পুলিশের এমনও কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে অসহায় জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মহামারি (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভালুকা মডেল থানার (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন।

অন্যদের সামনে নিজেকে কখনো (ওসি) হিসাবে পরিচয় না দিয়ে জনগণের একজন সেবক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। এভাবেই অতি সাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এমনকি নিজের রুম ছেড়ে বাইরে থানার পাশে বসে সবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যদিও করোনা ভাইরাস চলমান রয়েছে। করোনা কালেও যে কোনো সময় সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে যে কোনো বিষয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান নিয়ে থাকেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন গত ২০১৯ সালের (১ মে) ভালুকা মডেল থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তিনি জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অতি পরিচিত একজন মানুষ।

এর আগে তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, মির্জাপুর থানা ও নাগরপুর থানায় (ওসি) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। চাকরি জীবনে উজ্জ্বল সফলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন এই কর্মকর্তা।

যোগদানের পরপরই ভালুকা মডেল থানাকে দালালমুক্ত ও মাদকমুক্ত থানা হিসেবে ঘোষণা দেন (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। এরই মধ্যে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা দিয়ে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। এমনকি অভিযানে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও যে কোনো দুর্ঘটনায় তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। এরই পাশাপাশি মানুষকে ভাল পরামর্শ দেন তিনি।

তার ব্যতিক্রমী আরও উদ্যোগ হলো- থানায় মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, ভালুকা উপজেলায় একটি পৌরসভা ও এগারটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহাড়া জোরদার, স্কুল-কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি সভা, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাবেশ। কোনো মহল থেকে প্রভাবিত না হয়েই ন্যায়সঙ্গত কাজ করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

গত ২০১৯-২০২০ সালের চলতি বছরের উপজেলায় প্রতিটি সভা তার পরিচালনায় হয়েছে। এসব জনসভায় বক্তব্যকালে (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে চান। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে মিলে কাজ করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ভালুকা মডেল থানাকে একটি সুসজ্জিত, সুশৃঙ্খল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তার।এছাড়াও উপজেলায় করোনা ভাইরাস শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন।

তিনি নিজ হাতে কোয়ারেন্টিনে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। পথহারা চার শিশুকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তির টাকায় কেনা বৃদ্ধার বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে তাঁকে বুঝিয়ে দেন। বহুলীতে পরিত্যক্ত বারান্দায় প্রসব করা সন্তানসহ মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ তাঁর ঠিকানা বের করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, দোষ-গুণের সমন্বয়েই মানুষ। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমি চেষ্টা করি সকল শ্রেণির মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং আমি এই থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় কোনো সন্ত্রাস ও মাদক থাকতে পারবে না। মাদকের সঙ্গে জীবনে কখনো আপস করিনি, আর করব না। তবে মাদক পুরোপুরি নির্মূল করতে স্থানীয় সাংবাদিকসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু। সমাজ থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ সকল অপকর্ম দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এরই মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তব রূপ পাবে তিনি বলেন।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন