ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৫ মার্চ ২০২১

চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

জীবনে একবারও চোখ ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর পরিবারে কারো চোখ ওঠেছে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালীন আবহাওয়ায় চোখ ওঠার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চোখ ওঠার পরে অবশ্যই চোখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

কেন চোখ ওঠে

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,  কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

চোখ ওঠে বুঝবেন যেভাবে

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে  ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে। ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

আসুন জেনে নেই চোখ ওঠলে কি করবেন

নোংরা পানি ও পানির ঝাপটা

আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।

সানগ্লাসন 

আক্রান্ত চোখে নিয়ে বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে।

চোখ ওঠা ছোঁয়াছে রোগ

চোখ ওঠা ছোঁয়াছে রোগ, তাই  যাদের চোখ ওঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। নোংরা হাত চোখে লাগানো যাবে না।

অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ

দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা. সাফী খান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ

গাজীপুর কথা