এই সময় জ্বর হলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভাবেন যে হয়তো করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এই ধারণাটি ভুল। করোনা ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অনেকেরই জ্বর হলে হলে বা দেহে কোনো সংক্রমণ হলে ঠোঁটের কোণে বা নাকের ভেতরে অথবা বাইরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কখনো ঠোঁটের কোণ ফেটে যায় ও লাল দেখায়। সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা করে ও অস্বস্তি হয়। এই অবস্থাকে জ্বর ঠোসা বলা হয়ে থাকে। যদিও এটি বড় কোনো সমস্যা নয়, তবে বেশ যন্ত্রণাদায়ক।
সাধারণত জ্বর ঠোসার পেছনে হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দায়ী। শরীরে কোনো কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, যেমন কোনো সংক্রমণ বা জ্বরের পর এমন সমস্যা বেশি হয়। এর প্রতিকারে ঘরোয়া দুটি উয়াপ বেশ কার্যকর। যা খুব দ্রুত এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক উপায় দুটি-
দুধের ব্যবহার
কটন বল এবং সামান্য দুধ নিন। কটন বলটি দুধে ভিজিয়ে ঘাঁয়ের ওপরে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। ২ ঘণ্টা পরপর এটি ব্যবহার করুন। দুধে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপার্টি আছে। এটি কেবল সংক্রমণটি পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেই নয়, আপনার ত্বককে শীতল করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
মধুর ব্যবহার
আধা চামচ মধু নিন। এবার আঙ্গুলের সাহায্যে মধু ক্ষতস্থানে লাগান। ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার মধু ব্যবহার করুন। মধু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপারটিস সমৃদ্ধ। এটি যে কেবলমাত্র সংক্রামিত কালশিটে নিরাময় করতে পারে তা নয়, ফুলে থাকা ত্বককেও শান্ত করে।
গাজীপুর কথা