অবশেষে উদঘাটিত হলো, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফাঁস হওয়া নূরী মোহাম্মদীয়া ইতির ফোনালাপের প্রকৃত রহস্য।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পেইজে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ পোস্ট করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনায় এসেছেন গাজীপুরের পাপিয়া খ্যাত নূরী মোহাম্মদীয়া ইতি। তার এই বেহায়াপনা আচরণের কারণ জানতে মেয়র তার সাথে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আলাপচারিতা করেন। তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক মনোভাব জানার পর আলাপচারিতার ৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড পর মেয়র অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তাকে জিজ্ঞাসা করেন, " একজন ভদ্র ঘরের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক, যারা আওয়ামী লীগ করে, সেসব লোক কি বলতে পারে? মেয়রের সাথে কুত্তারা চলে। " প্রত্যুত্তরে মহিলা উদ্ধতভাবে বলে, "আমি লিখেছি,... আপানার আশেপাশে যারা ঘুরে তারা বঙ্গবন্ধুর কর্মী...... আমি আবারও বলবো আপনার আশেপাশে যারা ঘুরে তারা কুত্তা।"
ফাঁস হওয়া ফোনালাপের নেপথ্যেঃ ইতির সাথে মেয়রের ফোনালাপ হয় ১০ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। কিন্তু মেয়রকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার উদ্দেশ্যে উক্ত কথোপকথন রেকর্ড করে অংশবিশেষ এডিট করে ৪ মিনিট ১৪ সেকেন্ড এর অডিও ফেসবুকে আপলোড করে।
মিথ্যাচারে ভরা ফোনালাপঃ একটা প্রশ্ন কি করেছেন নিজেকে? কোন জনপ্রতিনিধির বিপক্ষে ভাইরাল করা একটা ফোনালাপের ৬০ শতাংশ কেন কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে? একজন সতীসাধ্বী নারী কি কখনো নিজে কার সাথে শোয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে? একজন নারী কোন পর্যায়ে নামলে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার উদ্ভব হয়? আসুন জেনে নেই, কী ছিল সেই ফোন আলাপে-
নিজের পেশাঃ
০০ঃ ৩০ মিনিটঃ আমি একজন গৃহিনী
০০ঃ৩৫ মিনিটঃ আমার হাজব্যান্ড বেকার, আমিও বেকার।
০৩ঃ১৮ মিনিটঃ আমি একটা প্রাইভেট স্কুলে চাকুরী করি। স্যালারী কম।
স্বামীর পেশাঃ
০০ঃ৩৫ মিনিটঃ আমার হাজব্যান্ড বেকার, আমিও বেকার।
০৩ঃ ৫৬ মিনিটঃ আমার হাজব্যান্ড এখন কিছু করে না।
০৪ঃ০১ মিনিটঃ একটা ঠিকাদারি লাইসেন্স করেছে। আগে জমিজামা বিক্রি করতো।
আয়ের উৎসঃ
০২ঃ৩৮ মিনিটঃ সালনার বাড়ী বিক্রি করে সংসার চলে।
০৩ঃ১১ মিনিটঃ গ্রাম(মাদারীপুর জেলা) থেকে জমি বিক্রি করেছি,
০৩ঃ১৮ মিনিটঃ আমি একটা প্রাইভেট স্কুলে চাকুরী করি। স্যালারী কম। এভাবেই সংসার চলে।
পড়াশোনাঃ
০৩ঃ৩০ মিনিটঃ হোম ইকোনমিকস এ অনার্স করেছি। মহিলা কলেজ থেকে।
০৩ঃ ৪০ মিনিটঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
ঔরসজাত আওয়ামী লীগঃ
০৪ঃ৩৮ মিনিটঃ আমি আওয়ামী লীগ করি। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
প্রশ্ন হলো কত ঘনিষ্ঠ?
যে কি না নিজের ফেসবুক পেইজে লিখে "বিদায় আওয়ামী লীগ"
কোথায় যাচ্ছেন?
কে এই ইতি
নূরী মোহাম্মদীয়া ইতি, বয়স ৪২, স্বামীঃ ? উত্তর ছায়াবীথি, সদর মেট্রো, গাজীপুর।
পৈতৃক বাড়ী মাদারীপুর জেলায়। প্রশ্ন হলো মহিলাদের বয়স জিজ্ঞাসা করা অভদ্রতা, তা জেনেও কেন লিখা হলো আর স্বামীর জায়গায় (?) চিহ্ন। ক্ষমা করবেন? তিনি এই ৪২ বছর বয়সে সর্বজন স্বীকৃত মাত্র ৩ টি বিবাহ করেছেন।
উনি গৃহিণী না শিক্ষকতা পেশায় আছেন নিজেও জানেন না। তাহলে পেশা কি?
তথাকথিত রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং। ব্যক্তির বর্তমান স্বামী পেশায় জমির দালাল। ২০১৮ সালের কাউন্সিলের পূর্বে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তখন তার ফেসবুকে মেয়রের(সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ) প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে মহিলা যুবলীগের পদ পাওয়ার জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন। জনশ্রুতি রয়েছে যে, গত ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের পুবাইল এলাকায় পদ পেতে তিনি ভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তখন থেকে মেয়র জাহাঙ্গীর এর উপর চটেছেন। বর্তমানে তার কোন পদ পরিচয় না থাকায় সম্প্রতি মেয়র বিরোধী পক্ষের সাথে একাত্ম হয়ে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এ ধরণের উস্কানীমূলক ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত কর্মকান্ড করছেন।
গাজীপুর কথা
