ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ১৩ মার্চ ২০২১

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

৯৯৯-এ সম্পর্কে ধারণা, পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি, মাদক, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, কিশোর অপরাধ, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ ও পুলিশিং সেবা নিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) জুমার নামাজের খুৎবার আগে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ২২টি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উপজেলার নাগরী জামে মসজিদে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক, বড়নগর জামে মসজিদে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মোজাম্মেল হক, তুমলিয়া জামে মসজিদে এসআই নজরুল ইসলাম, চুয়ারিয়াখোলা জামে মসজিদে এসআই সাদিকুর রহমান, উলুখোলা জামে মসজিদে রেজাউল করিম ও মূলগাঁও জামে মসজিদে শহিদুল ইসলাম সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ৯৯৯ সম্পর্কে ধারণা প্রদান, ভাড়াটিয়াদের পরিচয় নিশ্চিতকল্পে ভাড়াটিয়া পরিচয় ফরম পূরণ পূর্বক সার্বিক তথ্যাদি থানায় প্রেরণ, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের সম্পর্ক থানায় তথ্য প্রদান, প্রত্যেকের সন্তানদের গতি-বিধি সম্পর্কে সতর্ক করা; সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে ধারণা প্রদান ও সচেতনতা সৃষ্টি করা, নিজের বাসস্থান-অফিস-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনায় এবং পার্শবর্তী সড়ক সংলগ্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কল্পে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেকর্ড সংরক্ষণে উৎসাহিত করা, ইভটিজিং রোধকল্পে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করা; বাল্যবিবাহ-বহুবিবাহ রোধকল্পে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, হুজুগে/গুজবে কান না দেওয়া ও যে কোনো সংবাদ থানাসহ অন্যান্য সরকারী দপ্তরের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া, যে কোনো সংগঠন-সংস্থা-আর্থিক প্রতিস্থানে অর্থ বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া; সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আনাগোনাসহ অবস্থান লক্ষ্য করলে পুলিশকে অবহিত করতে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করা, স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা প্রদান, অন্যের মত ও ধর্ম সম্পর্কে সহনশীলতা-সহমর্মীতা-সহযোগীতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি করা; রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জন-জীবন বিপর্যস্ত করে তাদের প্রতিরোধ-প্রতিহতের বিষয়ে সচেতন ও পুলিশকে সাহায্য করতে আগ্রহী করে তোলা, নারী-শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য অনুরোধ করা, বয়স্ক-প্রতিবন্ধিদের সাহায্য করার লক্ষে সদা প্রস্তুত থাকতে অনুপ্রাণিত করা; জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি বিষয়ে অনুরোধ করা এবং এ বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগীতা প্রদান আগ্রহী করে তোলা, অপারধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষে ও জনশৃঙ্খলা বিনির্মাণে পুলিশকে সহযোগী নিশ্চিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা, স্ব-স্ব ধর্মীয় অনুশাসন মানতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা; প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্টি যে কোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে দুঃস্থদের পাশে থাকার লক্ষে সবাইকে উৎসাহিত করা, খেলাধুলা দেশীয় সংস্কৃতির লালন  বিকাশে সবার সহযোগীমূলক মনোভাব তৈরিতে অনুপ্রাণিত করা এবং পুলিশের যে কোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য উৎসাহিত করা।

গাজীপুর কথা