ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে লকডাউন চান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ১৫:০৩, ৩ জুন ২০২০

গাজীপুরে লকডাউন চান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রথমদিকে গাজীপুরে একজন করোনা রোগী ধরা পড়েছিল। আজ ৫০ ওয়ার্ডে এটা ছড়িয়ে গেছে। গত তিনদিনে তালিকার বাহিরে ১৫ জন রোগী মারা গেছে। মানুষ লকডাইন সেই অর্থে মানে নাই। করোনা রোগী এখন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সেজন্য গাজীপুরের ৪০ লাখ মানুষের সুরক্ষায় আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।সোমবার (১ জুন) ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ মেয়রসহ স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন গাজীপুরের মেয়র।মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, প্রথমদিকে একজন রোগী ধরা পড়লেও এখন ৫০ ওয়ার্ডে এটা ছড়িয়ে গেছে। মানুষ লকডাইন সেই অর্থে মানে নাই। সেজন্য বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভয়াবহ কিছু হয়ে যাওয়ার আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের মাধ্যমে কঠিন লকডাউনের মাধ্যমে মানুষকে আটকে রাখা হয়। আর লকডাউন সময় ভাসমান ও গরীব মানুষদের অন্তত ১৫ দিনের খাবার আমরা সরবরাহ করবো, তাহলে মানুষকে মানাতে বাধ্য করা যাবে। শতভাগ সফল হওয়া যাবে। তা না হলে দেড় মাসে রোগী ছিল ১০ হাজার আর মাত্র ১৫ দিনে তা হয়েছে ৫০ হাজার। এভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকলে আগামী ৩০জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে গেছে।তিনি বলেন, যেসব এলাকায় রোগী নেই সেখানে যেন বাহিরের মানুষ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, আর যেখানে রোগী আছে সেখানকার মানুষ যেন বাহিরে বের না হতে পারে। এভাবেই আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতে সরকারকে অনুরোধ করেছি। কোটি কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য যদি শক্তি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে করা উচিত।মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, আজকের বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশি করোনা রোগী সবচেয়ে বেশী। যে সব এলাকা বেশি করোনা রোগী, সে সব এলাকা যেন জনগণকে সাথে নিয়ে একেবারেই লকডাউন করে দেওয়া হয়। এটাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। আর যেসব এলাকা কম আছে সেটা ইয়োলো জোন এবং যে সব এলাকা একেবারেই ফ্রেশ সে সব এলাকা গ্রিন জোন হিসাবে ভাগ করা হবে। যেন মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।গাজীপুর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গাজীপুরে আমাদের ৭৬ জন কাউন্সিলর আছেন, তাদেরকে কাজ ভাগ করে দায়িত্ব দিলে কাজটা সহজ হবে। গত তিনদিনে ১৫ জন রোগী মারা গেছে যারা তালিকাভুক্ত নয়। মানুষ স্বীকার করতে চায় করোনা পজেটিভ হলে, এই দুষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে সে নিজে যেমন নিরাপদ থাকবে না, অন্যরাও নিরাপদ হবে না। এ বিষয়টি বুঝতে হবে। গাজীপুরে ৪২ লাখ মানুষ বাস করে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।তিনি বলেন, ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ এলাকায় করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি পাচ্ছি আমরা। ঢাকা থেকে যখন মানুষ বেশি আসা শুরু করলো এবং গার্মেন্টস যখন খোলা হলো তখন থেকে করোনা রুগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এথন গাজীপুরের ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্য ৫০টি ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। বৈঠকের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদ থাকতে সে ব্যবস্থা করা।এরই মধ্যে দূরপাল্লার বাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সেজন্য আমাদের জনগণকে সতর্ক ও সচেতন করা, যাতে যে কোন দূর্ঘটনা হয়ে গেলে তা মোকাবেলা করা যায়।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন