গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে শত শত ধূসর আবাবিল পাখি হঠাৎ করেই আশ্রয় নিয়েছে। পার্কে এদের আগমন এবারই প্রথম। এর আগে কখনো এ পাখি সাফারি পার্কে দেখা যায়নি। হঠাৎ করেই সম্প্রতি এরা পার্কের বিশেষ করে নির্জন স্থানগুলোয় দল বেঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
পাখিগুলো দেখতে ত্রিকোণাকৃতি রুপালি ঠোঁট। শরীরজুড়ে ধূসর পালক। কাজল কালির টান চোখের কোণে। বুক থেকে নিচের দিকটা গোলাপি-ধূসর। লেজের ডগা সাদা। কালচে রঙের পা। নিতম্বের ওপর অর্ধচন্দ্রাকার সাদা বলয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুতের তারে বসে একঝাঁক ধূসর আবাবিল রোদ পোহাচ্ছে। কর্কশ কণ্ঠে ডাকাডাকি করছে। ধূসর আবাবিলের সুর মোটেও শ্রুতিমধুর নয়।
বন্যপ্রাণী বিশারদ ও সাহিত্যিক আলম শাইন বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, মালয়েশিয়া ও চীন পর্যন্ত এদের দেখা যায়। বিশেষ করে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের তারে দল বেঁধে বসে থাকে এ পাখি। রাতও কাটায় দল বেঁধে। শরীরের সঙ্গে শরীর ঘেঁষে রাত কাটায় এরা। তিনি বলেন, এরা সাধারণত উড়ন্ত পোকামাকড় ও ফড়িং খায়।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারী বনসংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, বিশাল পার্কের বিভিন্ন জায়গায় এদের দেখা মিলছে। এর আগে এ পার্কে কখনও ধূসর আবাবিল দেখা যায়নি। পার্কের জন্য এটা তাই একটা বাড়তি আকর্ষণ। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এরা হয়তো পার্কেই স্থায়ী হয়ে যাবে।
গাজীপুর কথা