ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জন্ম নিল উঠপাখির ৪ ছানা

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জন্ম নিল উঠপাখির ৪ ছানা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইনকিউবেটরে জন্ম হলো উটপাখির ৪ ছানা।  ৭ ও ৮ জানুয়ারি এই ৪টি ছানা ফুটেছে। এসব ছানা সুস্থ রয়েছে বলে জানান পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কিছু ডিম ইনকিউবেটরে রাখা আছে। আরো ছানা ফুটবে বলে আশা করছি।

জানা যায়, ২০১৩ সালে দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৬টি উটপাখি আমদানি করা হয়। পার্কের দক্ষিণ পশ্চিম পাশের ইমু পাখির পাশের বেষ্টনীতে রাখা হয়।  কিছু দিন পর থেকেই উটপাখি নিয়মিত ডিম পাড়তে থাকে। পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রাকৃতিকভাবে উটপাখির একটি বাচ্চা ফোটে।  পরের বছরই আরো দুটি বাচ্চা ফোটে।  প্রতি বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম পাড়লেও বাচ্চা ফুটছিল না। তবে এবার বিশেষ চিন্তা ভাবনা থেকেই ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করা হয়।

এর আগে ইনকিউবেটরে ময়ূরের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। সে সূত্র ধরেই উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোয় সাফল্য এলো। সমতলে বসবাস করা পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো উটপাখি।  এ পাখি আবদ্ধস্থানে ৬০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। অপরদিকে প্রাকৃতিকভাবে ৪০-৪৫ বছর বাঁচে। এদের ওজন প্রায় ৬৩ কেজি থেকে ১৪৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উটপাখি লম্বা পায়ে ঘন্টায় ৭০ কিমি গতিতে দৌঁড়াতে পারে। 

নিয়মিত ঘরের তাপমাত্রা মাপা হয়।  কলমি শাক, বাধা কপি কুুচি ও স্টাটার ফিড খেতে দেওয়া হয় বাচ্চাদের।  পৃথিবীতে আকারে সবচেয়ে বড় পাখি হচ্ছে উটপাখি। এদের ডিমও আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। পুরুষ পাখির শরীর কালো রঙ আর লেজ সাদা রঙের। অপর দিকে নারী উটপাখির সারা শরীরই ধূসর রঙের। 

বালুময় মরু অঞ্চলে এদের বেশি বিচরণ। সাহারা মরুভূমির উত্তর ও দক্ষিণে এবং পূর্ব আফ্রিকায় বেশি উটপাখির বসবাস। 

গাজীপুর কথা