ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইনকিউবেটরে উট পাখির ছানা

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৯ জানুয়ারি ২০২১

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইনকিউবেটরে উট পাখির ছানা

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে (গাজীপুর) প্রথমবারের মতো ইনকিউবেটর পদ্ধতিতে উট পাখির ডিম ফোটাতে সক্ষম হয়েছে। আরও অবাক করার হচ্ছে যেখানে বিদেশি প্রযুক্তির দামি ইনকিউবেটর ব্যর্থ সেখানে দারুণ সফলতা দেখিয়েছে দেশীয় সাইফুল ইসলামের উদ্ভাবন।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসিএফ তবিবুর রহমান এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সাফারি পার্কে এটাই প্রথম ইনকিউবেটরে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো। অতীতে অনেকবার উন্নত প্রযুক্তির ইনকিউবেটরে চেষ্টা করলেও সফল হওয়া যায়নি। অন্যদিকে প্রতিবার অনেক ডিম দিলেও প্রাকৃতিকভাবেও বাচ্চা পাচ্ছিলাম না। এ নিয়ে ইন্টারনেট ঘাটতে গিয়ে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তার নিজের উদ্ভাবিত ইনকিউবেটর ও তার পদ্ধতি অনুসরণ করে দারুণ সফলতা পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত ১৯ নভেম্বর ৭টি ডিম ইনকিউবেটরে দেই ফুটানোর জন্য। ৭ জানুয়ারি বহুল কাঙ্ক্ষিত প্রথম ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়, এরপর আরও একটি এবং ৮ জানুয়ারি ২টি বাচ্চা বের হয়, আরও একটি ডিমের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া লক্ষ্যণীয়। সে হিসেবে সফলতার হারও অনেক বেশি বলা যায়। বাচ্চাগুলো বর্তমানে সুস্থ রয়েছে, এখন একটু একটু করে সবজি খাওয়া শুরু করেছে।

প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে তাপমাত্রা ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। একটু পরিশ্রমের বিষয় হলেও জটিল না। আমরা এখন এটি ব্যবহার করে ইমু পাখির ডিম ফুটানোর কথা ভাবছি। দামও অনেক কম, মাত্র ১২ হাজার টাকার মতো।

তবিবুর রহমান বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এ পাখিটি আফ্রিকা থেকে কিনে আনা হয়। সাফারি পার্কে বর্তমানে ৪টি ফিমেলসহ মোট ৬টি পাখি রয়েছে। পাখিগুলো একবারে পনেরটি পর্যন্ত ডিম দেওয়ার রেকর্ড করেছি আমরা। এরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ডিমে তা দিয়ে থাকে। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ৩৮ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে। পাখিগুলো যথারীতি ডিমে তা দিলেও আবহাওয়াগত কারণে হয়তো বেশি সফল হওয়া যায়নি।

গাজীপুর কথা