ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের ভীড়

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৮ নভেম্বর ২০২০

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের ভীড়

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পার্কের প্রাণী বৈচিত্র্য উপভোগ করতে আসছেন। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন শীতের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পার্কের বিশেষ প্রাণীদের দেখা পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) পার্কের টিকিট কাউন্টারে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। বাধ্য বাধকতা থাকায় সবাই মাস্ক পরা অবস্থায় পার্কে প্রবেশ করছেন। জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে পার্কের প্রবেশ পথে। কেউ বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার লোকজন নিয়ে আবার কেউ সপরিবারে গাড়ি ভাড়া করে পার্কে এসেছেন।

পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রনি খান ও পাবনা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী নাসিম উদ্দিনসহ ১৩ বন্ধু শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে রওনা হন। তারা জানান, বেলা ১১টার দিকে তারা পার্কে এসে পৌঁছান। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা পার্ক পরিদর্শন করেন। সাফারি পার্কে করোনা মহামারির মধ্যেও দর্শনার্থীদের অভাব নেই। উৎসাহী মানুষকে মহামারি করোনা ও শীতের প্রভাব প্রাণি বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।
৫২ জনের একদল গ্রামবাসী বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খন্দকারটুলা থেকে একটি বড় বাসে পার্ক পরিদর্শন করতে আসেন।

দর্শনার্থী জিয়াউর রহমান ও রাব্বি জানান, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পার্ক এলাকা ছিল দর্শনার্থী শূন্য। পার্কের ভেতরে গাছপালা, তরুলতা দেখে মনে হয়েছে তারা যেন নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছে। পশু পাখিগুলো দেখে মনে হয়েছে তারাও মানুষের বিচরণ থেকে কয়েকটি মাস আলাদা হয়ে যেন বনে ফিরে গিয়েছিল। সীমাবদ্ধ এলাকায় পশুপাখির বিচরণ থাকলেও প্রাণি বৈচিত্র্যে এর প্রভাব চোখে পড়েনি।

ইউনিক মেঘনা ঘাটের প্রকৌশলী হুজাইফা বলেন, তিনি সপরিবারে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় আসলে ছেলে সজীব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে যাওয়ার বায়না ধরলে পার্ক পরিদর্শন করেন। জিরাফ, জেব্রা, ভল্লুকের দেখা মিললেও বিশেষ বেষ্টনীতে থাকা বাঘ, সিংহের দেখা পাওয়া যায়নি। পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও বিশেষ বেষ্টনীতে গাড়ি চড়ার সময় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান জানান, শুক্রবার ২ হাজারের বেশি দর্শনার্থী ছিল। পার্ক খুলে দেওয়ার খবরটি প্রচার হলে দর্শনার্থী আরও বাড়বে।

সাফারি পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারির কারণে পার্কটি লকডাউনের আওতায় ছিল। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকারি নির্দেশে এটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এ মহামারিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসছে। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন পার্ক খোলা রয়েছে। বিশেষ করে দিনের বেশিরভাগ সময় বাঘ সিংহ সুবিধাজনক স্থানে ঘুমিয়ে কাটায়। সে কারণে কোনও কোনও সময় এগুলো দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে না।

গাজীপুর কথা