ভয়ে পরিবার সদস্যরা এগিয়ে না আসায় গাজীপুরে এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীর লাশ দাহ করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যবসায়ী। রবিবার সকালে তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর মহাশশ্মানে ধর্মীয় রীতিতে দাহ করে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা। মৃত গোপীনাথ কর্মকার (৫৯) ভাওয়াল মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মির্জাপুর বাজারের সাধনা জুয়েলার্সের মালিক ছিলেন।
কোয়ান্টাম গাজীপুর শাখার অর্গানিয়ার আলীম-আল-রাজী জানান, জ্বর ও বুকে ব্যাথা নিয়ে গত ২৭ জুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন গোপীনাথ কর্মকার। ১ জুলাই কোরোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ৪ জুলাই শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাতেই মোবাইল ফোনে দাফন টিমকে লাশ সৎকারের সহযোগিতা চান। রবিবার ১০টার দিকে কোয়ান্টামের দাফন কার্যক্রমের সনাতন টিমের সদস্যরা লাশ নিয়ে গ্রামে আসেন। সেখানে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান শেষে গোপীনাথ কর্মকারের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শশ্মানে সনাতন ধর্মীয় রীতি মেনে সৎকার করা হয়। এ পর্যন্ত তারা গাজীপুর জেলায় ১৬টি দাফন ও সৎকার করেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গাজীপুর সদর উপজেলা সাধারন সম্পাদক সুবল চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ না থাকায় লাশ সৎকারে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সহযোগিতা চান। কোয়ান্টাম লাশ নিয়ে আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় ছেলে গোপীনাথের মুখাগ্নী করে। পরে কোয়ান্টামের পুরোহিত সম্পূর্ণ ধর্মীয় রীতিতে লাশ সৎকার করে।
গাজীপুর কথা