ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে কোরবানির পশু নিয়ে চাঁদাবাজি নেই: গাসিক মেয়র

প্রকাশিত: ১২:২২, ১ আগস্ট ২০২০

গাজীপুরে কোরবানির পশু নিয়ে চাঁদাবাজি নেই: গাসিক মেয়র

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পশুর হাট নিয়ে কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা চাঁদাবাজি নেই বলে উল্লেখ করেছেন মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পশুর হাটে কোনো ধরনের অন্যায়, অরাজকতা কিংবা চাঁদাবাজি প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না, হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সিটি করপোরেশনের কোনো হাটে পশুবোঝাই কোন ট্রাক বা অন্য কোনো পশুবাহী যানবাহন থেকে যেন কেউ চাঁদা দাবি করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ ও নজরদারি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি ।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমাদের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আমাদের সরকার যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে এটা আমাদের সব মানুষের মেনে চলা উচিত। সেটা হাট-বাজার কিংবা কোরবানির হাট সবখানেই। আশ্চর্যের বিষয় হলো, করোনা বিষয়টিকে সবাই অবহেলার চোখে দেখছে। সবাই ভাবছে এটা সরকারের রোগ কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ। এটা ভেবেই বেশিরভাগ মানুষ যে যার মত করে চলাফেরা করছে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গরুর হাটের সংখ্যা দ্বিগুণ হলে ভালো হতো। এ ছাড়াও আমাদের ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়েও এ হাট চলে গেছে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে গরু-ছাগল কিনবে, যারা স্থানীয়ভাবে পশু পালন করেন তাদের কাছ থেকেও নগরবাসীর উচিত পশু ক্রয় করা। যতটা সম্ভব পশুর হাট এড়িয়ে চলার জন্য আমরা সবসময় বলছি।
মেয়র জাহাঙ্গীর আরো বলেন, অঞ্চলভিত্তিক যেসব গরু ছিলো সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনে প্রায় ১২টির মত হাট বসেছে। এ ছাড়াও মহল্লাভিত্তিক অনেক ছোট ছোট হাট বসেছে। যারা কোরবানি করবেন তারাও সেইসব পশু ক্রয় করছেন। যেটি একটি ইতিবাচক দিক।

মেয়র বলেন, হাট যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, ততই বেশি মানুষের সমাগম কম হবে। তাই অধিক হাটের প্রয়োজন ছিলো। হাট কম হলে অতিরিক্ত মানুষ একই সাথে একই বাজারে আসতো যাতে করে করোনা ছড়িযে যাবার আশংকা থাকতো বেশি। তাই আমি মনে করি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে হাটের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত ছিলো।
অনেকেই আছে যারা শুধু শুধু পশুর হাটে যায় পশু দেখার জন্য। তাই শুধু যারা পশু ক্রয় করবেন তাদের এই বাজারে যাওয়া উচিত। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জন্য ইতিমধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা পশুর হাটে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল রয়েছে। এ ছাড়াও আমরা ১০০ ফিট দূরে দূরে মাইকে স্থাপন করেছি, যেটির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সচেতনতা মূলক কথা বলা হচ্ছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে হাটের বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বেসিন স্থাপন করা হয়েছে ।

মেয়র বলেন, গাজীপুরের পশুর হাটে কোন চাঁদাবাজি হয় না। গরুর কোন পাইকার আসতে এবং যেতে এবং গাড়ি আসতে যেতে কোন ধরনের চাঁদা কেউ নিচ্ছে না, নিবেও না।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন