স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকার রুবেল নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত রুবেল (১৮) নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি মহানগরের কাশিমপুর ভবানীপুর এলাকায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার বড়তিনকুল গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে আবু জাফর ওরফে আকাশ (২০), একই জেলা শহরের মালগ্রাম এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে শাকিল (২০), জামালপুরের মেলান্দহ থানার হরিণাপাই গ্রামের মো. আশরাফ মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (২২) এবং (ব্যাটারি ক্রেতা) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার টিয়ারা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রাশেদ আহমেদ (৪০)।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপকশিশনার (ডিসি) মো. জাকির হাসান জানান, আকাশ ও রিকশাচালক রুবেল একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আকাশের স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে রুবেলের সঙ্গে আকাশের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরেই বুধবার রাতে আকাশ তার অন্য তিন সহযোগীকে নিয়ে রুবেলকে খুন করে তার অটোরিকশাটি লুটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়।
ডিসি জাকির আরও জানান, ঘটনার রাতে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে ভিকটিমকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার রিকশায় চড়ে আকাশ, শাকিল ও ফরহাদ কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিয়ে যায়।
পরে সেখানে তারা তাকে খুন করার পর অটোরিকশা ও ব্যাটারিটি নিয়ে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কাশিমপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি ক্রেতা রাশেদ ও অন্য তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ব্যাটারি ও খুনে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কাশিমপুর থানার এসআই মো. জলিল মিয়া জানান, নিহত রুবেল ঢাকার সাভার এলাকার একটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় রুবেল ভবানীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
গাজীপুর কথা