ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

খোঁজ মিললো প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগের ঘোড়ার

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২২ আগস্ট ২০২০

খোঁজ মিললো প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগের ঘোড়ার

প্রাগৈতিহাসিক যুগে ঘোড়া দেখতে কেমন ছিল তা বহু মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এই আগ্রহ থেকেই বিজ্ঞানীরা প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগের ঘোড়ার জীবাশ্ম থেকে এর অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই ঘোড়া শাবকটি দেখতে আজকের দিনের ব্যাজার নামে পরিচিত প্রাণীর মতো।

ডেইলি মেইল’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবাশ্মসমৃদ্ধ এলাকা মিসেল। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এ এলাকা। এখানেই পাওয়া গিয়েছিল ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইকুয়িডের কঙ্কাল।

জানা গেছে, এটি অন্তত চার কোটি ৮০ লাখ বছর আগের একটি শাবকের। বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন 'প্রোপালেওথেরিয়াম ভগতি'। জীবাশ্মের কঙ্কালটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাই এটি দেখতে কেমন, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্যাপক আগ্রহী।

 

ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইকুয়িডের কঙ্কাল; ছবিঃ সংগৃহীত

ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইকুয়িডের কঙ্কাল; ছবিঃ সংগৃহীত

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রোপালেওথেরিয়াম ভগতির উত্তরসূরিরা ইয়োসিন যুগে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিচরণ করতো। এদের গা আজকের দিনের চিত্রা হরিণের মতো রোমশ চামড়ায় ঢাকা ছিল। এরা দলবেঁধে থাকতেই পছন্দ করতো। প্রোপালেওথেরিয়াম ভগতির ঘাড় খাট, পিঠ ধনুকের মতো ঊর্ধ্বদিকে বাঁকানো। পায়ে ছিল ছোট ছোট খুর, যা আজকের দিনের ঘোড়ার খুরের সঙ্গে মেলে না। এরা অরণ্যে বিচরণ করত এবং মাটিতে ঝরে পড়া জাম জাতীয় রসালো ফল ও এর পাতা খেয়ে বাঁচতো। ইয়োসিন যুগের শেষ দিকে প্রোপালেওথেরিয়াম ভগতির উত্তরপুরুষদের পা লম্বা হতে থাকে। যা ক্রমেই আধুনিককালের ঘোড়ার পায়ে রূপ নেয়।

জার্মানির ফ্রেডরিখ শিলার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ মার্টিন ফিশার ও তার সহকর্মীরা কম্পিউটার টমোগ্রাফির মাধ্যমে খোঁজ পাওয়া কঙ্কালটি স্ক্যান করেন এবং থ্রিডি পদ্ধতিতে প্রাণীটির অবয়ব গড়ে তোলেন।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন