ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

খাদ্য নিরাপত্তায় তিন ধাপে কর্মপরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৭ জুলাই ২০২০

খাদ্য নিরাপত্তায় তিন ধাপে কর্মপরিকল্পনা

করোনার অভিঘাতসহ বিভিন্ন আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তিন ধাপে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি খাতে এ যাবতকালে অর্জিত সাফল্য ধরে রেখে উদ্ভাবিত নতুন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এই কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা হিসেবে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ কর্মপরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন কোভিড-১৯ কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা, ‘সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি-২০১৮’ বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

জানা গেছে, করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। আগামীতে যাতে করোনার প্রভাবে দেশে দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যের অভাব দেখা না দেয় এবং সেই সঙ্গে কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নও অব্যাহত রাখতে নেয়া হচ্ছে পদক্ষেপ। ফসল সঠিকভাবে ঘরে ওঠানো এমনকি মাঠ পর্যায়ে পরবর্তী ফসল বুনন-রোপণে নানাদিক নির্দেশনা দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তারই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ হিসেবে নানা কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি চলমান রাখা, কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। যা সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এডিপি পর্যালোচনা সভায় সবার সামনে অনলাইনে প্রদর্শন করা হয়। সভায় জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারীসহ বিভিন্ন আপৎকালীন পরিস্থিতি বিশেষত ঘূর্ণিঝড় আমফান দেশের খাদ্য উৎপাদন, চাহিদা, বিপণন এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণসহ কৃষির সামগ্রিক বিষয়কে সরাসরি প্রভাবিত করছে। সেই সঙ্গে পুরো খাদ্য সরবরাহ চেন ব্যাহত করার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অধিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এ কারণে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে একটি স্বল্প (১ বছর), মধ্য (২-৩ বছর) এবং দীর্ঘ (৪-৫ বছর) মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। যার সফল বাস্তবায়ন কোভিড-১৯’র কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলাসহ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি-২০১৮ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

আগামীর এই কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক  বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। তিন ধাপে কর্মপরিকল্পনাও কৃষির উন্নয়নের জন্য একটি বড় বিষয়। আমাদের কৃষি অনেক এগিয়েছে, আরও এগিয়ে যাবে। এজন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নেয়া যাতে এই সময়ে বা সামনে কখন কি করা দরকার। এই মুহূর্তে যে ফসল আছে সেসব কিভাবে বাজারজাত-প্রক্রিয়াজাত করা হবে সে নিয়েও কাজ হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের যদি আনতে পারি অর্থাৎ সামগ্রিক বিষয়টিই কর্মপরিকল্পনার অংশ এবং কাজ হচ্ছে। ড. আব্দুর রাজ্জাকের মতে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে, কিছু না কিছু যেন উৎপাদন হয় সে ধরনের পদক্ষেপ তো আছেই, পাশাপাশি দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সাবেক সভাপতি ড. শামসুল  বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। দ্রুত বাণিজ্যকরণ করতে হবে, উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে যান্ত্রিকীকরণ করে আরও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কৃষিতে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। বিনিয়োগ ব্যক্তিখাতে হবে। কৃষি হলো সবচেয়ে বড় ব্যক্তিখাত। সরকার নীতিকাঠামো তৈরি করে সহায়তা দেবে। কৃষি বিপণন ব্যবস্থায় যে বিচ্যুতি আছে তা কাটিয়ে উঠতে বেসরকারী খাতকে প্রণোদনা দিতে হবে। বেসরকারী খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে যান্ত্রিকীকরণে। খামার যতটা সম্ভব বৃহৎ খামারে রূপান্তরের চেষ্টা করতে হবে। এই লক্ষ্যগুলো থাকবে হবে। তিনি বলেন, বেসরকারী খাতকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে সরকার। সঠিক বাস্তবায়নও দরকার। কৃষি খাতে পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হলে, আরও রফতানিমুখী করতে হলে বাণিজ্যিকীকরণ, উদ্বৃত্ত উৎপাদন ছাড়া শিল্পসম্মত যান্ত্রীকায়ন না হলে বাণিজ্যিক কৃষি সম্ভব হবে না। বিশেষ করে ফসল খাত উচ্চ প্রযুক্তির দিকে নিতে হবে। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম বলেন, কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আমি খুবই আনন্দিত। যে সময় এই কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয় তাতে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সময়োপযোগী। তবে লক্ষ্য-কৌশলগুলো সুনির্দিষ্ট করেই এগোতে হয়, বলেন তিনি।

এর আগে কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জানিয়েছেন, কৃষির উন্নয়নে যা করণীয় আমরা সেভাবেই কাজ করছি। কর্মপরিকল্পনা তারই একটা অংশ। আমরা করোনার মধ্যেও নানা উদ্যোগ নিয়ে কৃষকের ফসল ঘরে ওঠানে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। ফসল বিক্রিতে নানা উদ্যোগ যেমন নিয়েছি তেমনি সামনের ফসল উৎপাদন-বিপণনেও উদ্যোগ থাকবে। আমরা মৌসুমি ফল বিপণনের উদ্যোগও নিয়েছিলাম তাতে কৃষক লাভবানও হয়েছেন। বোরো ফসল ভালভাবে ঘরে ওঠানোর পর আমরা আউশ-আমনে নজর দিয়েছি। আমরা চাই যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যেন আমরা প্রস্তুত থাকি। কর্মপরিকল্পনা জানতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আবদুর রৌফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

মন্ত্রণালয় ও সভার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্বল্পমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হচ্ছে: ভর্তুকিমূল্যে প্রদত্ত কৃষি যন্ত্রপাতি হাওর অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকের মধ্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ (বীজ, সার, সেচ) সরবরাহ আরও সুলভ করা, সেচ চার্জ হ্রাসকরণ ও সেচে ভর্তুকি প্রদান, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে ফসল চাষ নির্বিঘœ করার জন্য প্রয়োজনীয় আমদানিযোগ্য উপকরণের যোগান নিশ্চিতে উৎস দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং এসব পণ্যের আগমন, পরিবহন ও ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমদানিকারক ও বিপণনকারী কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা, কৃষকের বসতবাড়িতে এবং শহরাঞ্চলের বাড়িতে পুষ্টিবাগান সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধকরণ। এছাড়াও এই পরিকল্পনায় রয়েছেÑ কৃষি প্রণোদনা ও ঋণের অর্থ সরাসরি কৃষকের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ, সরকারের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নতুন/নিবিড় উৎপাদন এলাকায় পরিবহন এবং বিক্রয়ের জন্য সংগঠিত করা, কৃষক বিপণন গ্রুপ/দল গঠন এবং উৎপাদক ও বিক্রেতার সঙ্গে ভোক্তার সংযোগ স্থাপনে সহায়তা প্রদান, সুপারশপ এবং পাইকারদের অধিক সবজি ও ফল উৎপাদন এলাকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ও ফল ক্রয়ে উদ্যোগ গস্খহণ, প্রতিটি জেলায় কৃষি বিপণন অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ কৃষিপণ্যের বাজার কার্যক্রম আরও জোরদারকরণ, কৃষিপণ্য প্রক্রিজাতকরণ, বাজারজাতকরণ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি। ইতোমধ্যেই সরকারের উদ্যোগে এ বছর সবজি থেকে শুরু করে মৌসুমি ফল সঠিকভাবেই বাজারজাত করতে পেরেছে কৃষক। মৌসুমি ফলের ভাল মূল্যও পেয়েছে চাষি। একই সঙ্গে কৃষিযান্ত্রিকীকরণের ফলে সহজেই ওঠানো গেছে বোরোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ফসলও। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিন হাজার ২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

সরকারের নেয়া মধ্যমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- কোভিড-১৯সহ এ জাতীয় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে টেশসইকরণ, চাহিদাভিত্তিক কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কৃষিতে সময়মতো প্রয়োজনীয় কৃষি শ্রমিক নিশ্চিতকরণে একটি টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা এবং কৃষি শ্রমিকদের একটি ডাটাবেজ গড়ে তোলা, সময়মতো, সহজলভ্য, যথাসম্ভব নির্ভুল কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস সিস্টেম গড়ে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলায় রোগ ও পোকা-মাকড় প্রতিরোধী, খরা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও তাপসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, সেচ এলাকা সম্প্রসারণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনয়ন, চুক্তিবদ্ধ চাষ ও বিপণন ব্যবস্থা জোরদারকরণ, কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থায় মধ্যস্থ কারবারি স্তর হ্রাসকরণ, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি ও রফতানি সম্প্রসারণ সহায়ক সেবা জোরদারকরণ, ই-কৃষি বিপণন এবং সমবায় বিপণনকে টেকসই করা।

আর দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- স্বল্পকালীন ও হাইব্রিড ধানের গবেষণা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং অনুকূল পরিবেশের উপযোগী ধানের ফলন ও গুণগত মান বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন ফসলের (গম, ভুট্টা, ফল, সবজি, মসলা, তেল, ডাল, তুলা, ইক্ষু, পাট ইত্যাদি) উচ্চ ফলনশীল জাত উন্নয়ন ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা পরিচালনা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, নতুন রোগ বালাইয়ের (ব্লাস্ট, রাস্ট ও ফল আর্মি ওয়ার্ম, পঙ্গপাল ইত্যাদি) দমনে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ, দরকারি কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয় মজুদ গড়ে তোলা এবং ভর্তুকিমূল্যে অধিকসংখ্যক কৃষক যাতে কৃষি যন্ত্রপাতি পায় সে ব্যবস্থাকে টেকসই করা। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনায় মানসম্পন্ন ভিত্তি, প্রত্যায়িত ও মানঘোষিত বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা টেশসইকরণ, উচ্চমূল্য ফসলের উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, বাজারজাতকরণ এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিকে টেশসইকরণ, বাজার অবকাঠামো, ফসল সংরক্ষণাগার, বিশেষায়িত কোল্ড স্টোরেজ সম্প্রসারণ, কৃষিপণ্য সংরক্ষণের স্থানীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সচেষ্ট হওয়া, শস্য সংরক্ষণ ও শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন, হাওরাঞ্চলে ভাসমান বাজার ব্যবস্থা চালুকরণ ইত্যাদি।

মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মপরিকল্পনাটির সঠিক বাস্তবায়ন কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন আপৎকালীন পরিস্থিতির কারণে কৃষিতে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়া বেগবান করবে, যার ফলে সময়ের পরিবর্তনে সামগ্রিকভাবে কৃষির গতিশীল ধারা অব্যাহত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা কর্মপরিকল্পনাকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন তেমনি সঠিক ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন চান। যাতে করে কৃষির উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হয়, কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন