ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাশি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১৬ নভেম্বর ২০২০

কাশি কমাবেন যেভাবে

শীতে ঠাণ্ডা-কাশির সময় আসছে। ওদিকে আবার করোনার ভয়। এমন সময়ে সুস্থ থাকতে আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতেই হবে। খেয়াল করুন, কাশিটা কি নতুন, না এর আগেও প্রায়ই জ্বালিয়েছে আপনাকে? মৌসুমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না।

এমন যদি হয় যে শীতে, ঠান্ডায়, গরমে, বর্ষায় বা ধুলাবালিতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়, তবে ধরে নিতে পারেন যে এটি অ্যালার্জিজনিত। লক্ষ্য করুন, আপনার বাড়িতে বা কাজের পরিবেশে এমন কিছু আছে কি না, যা অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ায়।

যেমন: হয়তো ধুলোমাখা কার্পেট, আলো-বাতাসহীন ভাপসা ঘর, এমনকি পোষা প্রাণী, পাখি বা ফুলগাছের রেণু। হয়তো ঘরের শীতাতপনিয়ন্ত্রণের যন্ত্রই আপনার সহ্য হয় না, অথবা সইতে পারেন না বেশি গরম ও ঘাম। শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায়ও অনেকের কাশি বাড়ে। এসবের যেকোনো কিছুই আপনার কাশির জন্য দায়ী হতে পারে। পরিবারে বা বংশে হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস এ ধারণাকে মজবুত করবে।

একধরনের হাঁপানিই আছে, যেখানে শ্বাসকষ্ট না হয়ে স্রেফ খক খক কাশি দেখা যায়; একে বলে কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা। ধুলাবালি বা ঠান্ডা এড়িয়ে চলা, অ্যালার্জির ওষুধ বা ইনহেলার-এই হলো এর চিকিৎসা।

আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে হয়তো স্মোকার কফ হচ্ছে। তামাক শ্বাসঝিল্লিকে ক্রমাগত ব্যাহত করছে বলেই কাশি উঠছে। লক্ষ করুন, স্বাভাবিক সময়ের কাশির চেয়ে এই নতুন কাশি একটু অন্য ধরনের কি না। কিংবা হঠাৎ তীব্রতায় বা ধরনে পাল্টে গেছে কি না। কারণ, ধূমপায়ীদের কফ হঠাৎ আচরণ পরিবর্তন করলে একটু সতর্ক হওয়া চাই বটে; ফুসফুসের ক্যানসার ধূমপায়ীদেরই বেশি হয়।

এই ধরনের কাশি হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:

ক্যাফেইনযুক্ত পানি: 
কাশি হলে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে কফি। কাশির সময় কফি খাওয়া হলে তা গলা শুকিয়ে ফেলে।

ভাজা খাবার: 
যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তবে তেলে ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ, তেল কাশি বাড়িয়ে দেয়। কড়া ভাজা খাবারও এ সময় এড়ানো উচিত, কারণ তা কাশিবর্ধক ও গলা চুলকানোর জন্য দায়ী।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: 
প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেটজাত নাশতার মতো খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

অ্যালকোহল: 
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় অ্যালকোহল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

ঠান্ডা খাবার: 
কাশি হলে আইসক্রিম বা শীতল পানীয়ের মতো কোনো ঠান্ডা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি শ্বাসনালি শুষ্ক করে ফেলে এবং প্রদাহ তৈরি করে।

গাজীপুর কথা