ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালীগঞ্জে পিতৃ পরিচয় চাওয়ায় মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি বাবার

প্রকাশিত: ১০:০৫, ১৮ মে ২০২০

কালীগঞ্জে পিতৃ পরিচয় চাওয়ায় মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি বাবার

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিনের ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের শেখ আজিজুর রহমান সুমনের কিশোরী কন্যা শিমলা আক্তার (১৫)।

ইতিমধ্যে তার জন্মের ১৫টি বছর অতিবাহিত হলেও জন্মসনদে বাবার নাম লিখা ছাড়া আর কোন অধিকার সে পায়নি।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের পর সমাজের সচেতন মহল থেকেও শিমলাকে পিতৃ পরিচয় দিয়ে বাড়ী ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয়দের চাপে শিমলার বাবা সুমন তার মেয়েকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।

সোমবার সকালে শিমলার নানার বাড়ীতে গিয়ে শিমলা, তার মা, মামা ও নানা-নানীকে সুমনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে দুপুরে শিমলা বাদী হয়ে বাবা সুমনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং ৫৮০) করেন।

প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিমলার বাবা শেখ আজিজুর রহমান সুমন।

সাধারণ ডায়েরীর সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের দিকে উপজেলার ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে শেখ আজিজুর রহমান সুমন একই গ্রামের ছবির মোল্লার মেয়ে সাথীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর সেই সূত্রে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ায়।

কয়েকদিন পর সাথী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা করে সুমন। কিন্তু এলাকাবাসীর তোপের মুখে তা সম্ভব হয়নি।

তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আতাউর রহমান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুকের গ্রামীন সালিশের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সাথীকে বাড়ী নিয়ে যায় সুমন ও তার পরিবার।

বিয়ের ৩ মাসের মধ্যেই ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় একটি হাসপাতালে জন্ম হয় আজকের এই শিমলার।

ওই সময় সুমন হাসপাতালে তার স্ত্রী ও নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায়।

কিন্তু সাথীর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করা সম্ভব না হওয়া থানার ওসি তা পরিশোধ করেন এবং নগদ কিছু অর্থ ও শিশু খাদ্য দিয়ে বাড়ীতে পাঠান। এরপর থেকে একটি দিনের জন্যও সুমন তার স্ত্রী-কন্যার খোঁজখবর নেয়নি।

গাজীপুর কথা