ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালীগঞ্জে ইউএনওর ছোঁয়ায় প্রাণ পেল পুকুর-মাঠ

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কালীগঞ্জে ইউএনওর ছোঁয়ায় প্রাণ পেল পুকুর-মাঠ

গাজীপুরের কালীগঞ্জের ইউএনও মো. শিবলী সাদিকের হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরল কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত মাঠ ও পুকুরের। সে সঙ্গে ঐতিহ্য ফিরে পেল প্রাচীনতম সরকারি স্কুলটি। আর এতে স্থানীয়দের প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন ইউএনও। 

দু’দিন আগেও যে মাঠের কোনায় কোনায় ছিল ময়লার স্তুপ। মাঠ ও পুকুরের পাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে হলে নাকে রুমাল চাপতে হতো, সে মাঠ আর পুকুর অনেকটাই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। করোনাকালে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালটির ময়লা পুকুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও মো. শিবলী সাদিকের। তিনি পুকুরসহ পরিত্যক্ত মাঠটিরও দায়িত্ব নেন পরিষ্কারের।

 

পুকুরের আগের অপরিষ্কার অবস্থা

পুকুরের আগের অপরিষ্কার অবস্থা

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ময়লা মাঠের কোনায় ফেলানো হতো। সেখানে এখন ডাস্টবিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করে চারপাশে লাগানো হয়েছে মেহগনি গাছ। আর তাতে দেয়া হয়েছে খাঁচা। তাছাড়া মাঠ ময়লা হওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে দেয়া হয়েছে সীমানা প্রাচীর। মাঠের আগাছা পরিষ্কারে ছিটানো হয়েছে ওষুধ। অন্যদিকে পুকুরে পড়ে থাকা সব ময়লা পরিষ্কার করে পুকুরের পানি পরিষ্কারে ছিটানো হয়েছে চুন। পুকুর রক্ষায় পুকুরের পশ্চিম পাশে দেয়াল নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠ ও পুকুরের চারপাশে লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। বর্তমানে পরিত্যক্ত মাঠে এখন শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করছে। আর যে পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মানুষের নাকে রুমাল চাপতে হতো সেই পুকুরে এখন গোসল ও অজু করা যাচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পুকুর ও মাঠটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ইউএনও শিবলী সাদিকের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির মাঠ ও পুকুর আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ইউএনওর এমন মহতি উদ্যোগে স্থানীয়রা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

পুকুরের বর্তমান অবস্থা

পুকুরের বর্তমান অবস্থা 

ইউএনও শিবলী সাদিক বলেন, আসলে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার সুযোগ অনেক। তবে সেই কাজে যদি স্থানীয়দের সহযোগিতা থাকে তাহলে তা সহজেই করা সম্ভব। আমার এ কাজটিতে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমেরিকা প্রবাসী নাইম আহমেদসহ স্থানীয় অনেকে সহযোগিতা করেছেন। সরাসরি মাঠ পরিষ্কারে হাত লাগিয়ে কাজ করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এজন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। 

তিনি আরো বলেন, কোনো কাজই আমি সঙ্গে নিয়ে যাব না। তবে ভালো কাজ করে যেতে পারলে স্থানীয় মানুষজনের হৃদয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকা সম্ভব। বিগত দিনের মতো স্থানীয়দের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আরো কিছু কাজ করে যেতে চাই।

গাজীপুর কথা