ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপাসিয়ায় হঠাৎ বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১ এপ্রিল ২০২১

কাপাসিয়ায় হঠাৎ বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম, বিপাকে খামারিরা

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরুর খাবারের হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। গ্রামে এমন কোনও বাড়ি নেই যে বাড়িতে একটা-দুইটা অথবা তার অধিক গরু নেই। কিন্তু গরুর খাদ্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু পালনে সমস্যা হচ্ছে।

বর্তমানে গরুর খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তার উপর নিম্নমানের খাদ্য বাজারে সয়লাব। ইতোমধ্যে নিম্নমানের ভেজাল গরুর খাদ্য খেয়ে অনেক খামারে গরু রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। খামারিরা বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

খামারিরা মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে মনোযোগী হলে গরুর খাদ্যর দাম স্বাভাবিক হতে পারত। তারা আরও বলেন, সরকার যদি সহজ শর্তে গরু খামারিদের ও গরু পালনকারীদের ঋণ দেয় ও গরুর খাদ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে অনেকে গরুর খামার ও গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে করে বেকার সমস্যার সমাধান হবে অনেকাংশে। হ্যান্ডশেক এগ্রো খামার এর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রুবেল জানান, বর্তমানে বাজারে গম আর মটরের চেয়ে দাম বেশি গো-খাদ্য ভুষির। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে এসব গো-খাদ্যর দাম। এতে করে খামারিরা বিপাকে পড়ছেন। সিন্ডিকেট কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে গো-খাদ্যর দাম। পাশাপাশি নিম্নমানের গো-খাদ্য বাজার সয়লাব হয়ে পড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।

কাপাসিয়া উপজেলার ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক জানান এক কেজি গমের ভুষির দাম ৪৫ টাকা, ছোলার ভুষি ৬০-৬৫ টাকা, অ্যাংকর ভুষি ৫০ টাকা, মসুর ভুষি ৪০ টাকা, খুদ ৩৮ টাকা, ধানের কুড়া ১৪ টাকা, খৈল ৩৫ টাকা, ফিড ৩৮ টাকা খড় ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি খাবারের ওপর কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

খাবারের এই বাড়তি খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন গরু পালনকারীরা। আমার খামারে ১৯টি গরু আছে। দুধ খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হয় ৫০ টাকা উৎপাদন করতে প্রতি লিটার খরচ হয় ৫৪ টাকা। আবার গরু বিক্রি করতে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় আমরা এক বছর পালন করে যা লাভ করি দালাল এক ঘণ্টায় সমপরিমাণ লাভ করে।

টোক ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের আলী আকবর বলেন, গরু পালন করে বেশ লাভ হচ্ছিল কিন্তু গত দুই-তিন বছর কোন রকম টিকে আছি। বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় তা মরার উপর খাঁড়ার ঘা’র মত, গরু পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পারিশ্রমিক বাদ দিলে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, লোকসানের ভাগ বেশি। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে গরু বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

গাজীপুর কথা