ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রীকে গর্ভপাতের অভিযোগে ২ জন কারাগারে

প্রকাশিত: ১২:০৯, ১১ জুলাই ২০২০

কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রীকে গর্ভপাতের অভিযোগে ২ জন কারাগারে

কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করার অভিযোগে ‘সাফা মারওয়া জেনারেল হাসপাতালের’ এক নার্সসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে গত ২ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

জানা যায়, মামলার আসামি মিয়ার উদ্দিন (৬০) গত ৬ জুলাই আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৮ জুলাই আরেক আসামি কাপাসিয়া বাজারের ‘সাফা মারওয়া জেনারেল হাসপাতালের’ নার্স নুরুন্নাহারকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়েছে। 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৪ বছর বয়সী এই মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা অটোরিকশা চালক। গত রমজানে মেয়েটির মা মারা গেছেন। চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। বড় তিনজন বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি আছেন।

মামলার বাদী বলেন, মিয়ার উদ্দিন তার [বাদী] চাচাত ভাই। প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ার উদ্দিন বাড়ির পাশে ফোরকানানিয়া মাদ্রাসায় প্রথম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এরপরও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। লজ্জায় মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বলেনি।

“১০/১২ দিন ধরে ঘন ঘন বমি হলে কিশোরী তার বড় বোনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। ইতোমধ্যে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।”

মিয়ার উদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বাদীকে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে এক পর্যায়ে মিয়ার উদ্দিনের স্ত্রী গত ২৫ জুন স্থানীয় কাপাসিয়া বাজারে ‘সাফা মারওয়া জেনারেল হাসপাতালের’ পাশে একটি বাড়িতে রেখে গর্ভপাত করানো হয়। এ কাজে মিয়ার উদ্দিনকে সহায়তা করেন স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, মফিজউদ্দিন ও মিলন মোল্লা।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার পর মিয়ার উদ্দিন গত ৬ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। দুদিন পর [৮ জুলাই] স্থানীয় ‘সাফা মারওয়া জেনারেল হাসপাতালের’ নার্স নুরুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকেও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

গাজীপুর কথা