ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপাসিয়ায় সন্ধ্যার পর জমে আড্ডা, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

কাপাসিয়ায় সন্ধ্যার পর জমে আড্ডা, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

সন্ধ্যার পর থেকেই জমে গল্পের আসর। সঙ্গে নানা রকমের খাবার। সারাদিন ঘরে থকলেও তরুণ-তরুণীরা সন্ধ্যার পর ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে ভিড় জমায়। মুখরুচিকর খাবারের সঙ্গে জমে হরেক রকমের গল্পের আসর। তারা বলছেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই এই সময়ে একঘেয়েমি কাটানোর সবচেয়ে ভাল উপায় ঘোরাঘুরি ও আড্ডা দেওয়া। ঠিক তাই হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিও নজরে পড়ার মাতো।

অন্যদিকে সন্ধ্যায় সড়কের মোড়ে মোড়ে দোকানগুলোতে চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে জমছে প্রবীণদের হরেক রকমের গল্পের আসর। সেখানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গাজীপুরের কাপাসিয়ার প্রতিদিন সন্ধ্যার চিত্র এটি। গত বুধবার এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক বাহিরে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যথেষ্ঠ নজরদারি না থাকায় তা মানছে না অনেকেই।

সরেজমিনে উপজেলার মনোরম সিনেমা হলের সামনে ঝালমুড়ির দোকান, ঘাটপাড়ের চায়ের দোকান, ফকির মজনু শাহ্ সেতুতে চটপটি, ফুসকার দোকান ও বিভিন্ন হোটেল রোস্টুরেন্টে সন্ধ্যার পর দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই মুখরুচিকর খাবারের লোভে একে অন্যের সাথে মেতে উঠছে গল্পে।

ঘাটপাড়ের সিঁড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের হাসান, অনিক, তম্ময় ও শুভ। তারা বলেন, কলেজ বন্ধ। সারাদিন বাসায় কি করব? তাই সন্ধ্যার পর সবাই এক সাথে একটু হাটাহাটি করতে বের হয়েছি। এখনতো আর করোনা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেজেও আগের মতো করোনা আপডেট দেখি না।

উপজেলার চাঁদপুর বাজারে কথা হয় ভ্রম্যমাণ ঝালমুড়ি বিক্রেতা ইলিয়াসের সাথে। তিনি বলেন, বেচা-কিনি না করলে খামু কি? করোনা-মরুনা কিছু নাই। এখনও যখন কিছু অই নাই আর কিছু অইবও না।

গাজীপুর কথা