বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান অনলাইনকে মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, কোন কোন কারাগারে বন্দীদের ঠাসাঠাসিভাবে রাখা হচ্ছে। সেখানে ন্যূনতম স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ অপ্রতুল। যা ভয়াবহ সংক্রামক করোনা ভাইরাসের বিস্তারের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে।
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, কারাগারগুলোতে বন্দীরা নিদারুণ কষ্টে আছে। কোন কোন বন্দী নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরাই করার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে কখনো কখনো কারারক্ষীরা সর্বশক্তি দিয়ে তা দমন করে।
করোনার জেরে চলমান লকডাউন কারাগারের দুঃসহ জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। কারণ এই লকডাউনে বন্দীদের সঙ্গে আত্মীয় ও বন্ধুদের দেখা করতে আসতে দেরি হচ্ছে। অনেক সময় তারা আসতেই পারছে না।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রধান অ্যালান হোগার্থ বলেন, কারাগারগুলোর এই অবস্থা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আর ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে কারাগারগুলো আসলে ধ্বংসের মুখে।
ছবিতে এল সালভাদরের ইজালকোর কারাগারে দেখা যাচ্ছে, কোন কোন বন্দী ফেসমাস্ক পড়ে থাকলেও তারা একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে আটকে আছে যেন- মাংসপিণ্ড। কারাগারের এই অবস্থাকে অ্যালান হোগার্থ জাহান্নাম দর্শনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই ঠাসাঠাসি অবস্থা দেখে জাহান্নামের কথাই মনে পড়ছে।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নেইব বুকেলে জেলের বন্দী গ্যাংয়ের সদস্যদের উপর প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন। এখানে তিনি মহামারি পরিস্থিতির সুবিধা নিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জেলে অপরাধী চক্রের (গ্যাং) সদস্যদের সর্বোচ্চ জরুরী অবস্থায় রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে আসা সদস্যদের একইসঙ্গে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরে সেট করা হয়েছে ধাতব পাত। সূত্র: দ্য সান
গাজীপুর কথা