ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ইসলাম ও নৈতিকতার প্রসারে বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২৬ এপ্রিল ২০২০

ইসলাম ও নৈতিকতার প্রসারে বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধুর পূর্ব পুরুষ শেখ আউয়াল ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত বায়জিদ বোস্তামী (রা.) এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর  সাথে ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন প্রথম। পরবর্তীতে তারই উত্তরপুরুষেরা বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন প্রচারক শেখ আউয়ালের সপ্তম বংশধর।

বঙ্গবন্ধু কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশকে সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট।

পাকিস্তানীদের একের পর এক মামলায় হতাশ না হয়ে তিনি আল্লাহর উপর আস্থা রেখেছেন ‘আমি একা এত মামলা সমলাব কেমন করে? খোদাই আমাকে রক্ষা করেছে জালেমদের কাছ থেকে আর ভবিষ্যতেও করবে’(কারাগারের রোজনামচা, পৃ-১৮২)।

বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে পালন  করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সে হতে অদ্যাবদি তাবলিগ জামাত ওই স্থানে বিশ্ব ইজতেমা পালন করে আসছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ মুসলিম এখানে সমবেত হয়ে ইসলামের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মেলন করে যাচ্ছেন। এছাড়া তাবলিগ জামাতের কেন্দ্র নামে পরিচিত কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণের দরকার হলে তখন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় কাকরাইল মসজিদকে সরকারি জায়গা বরাদ্দ দিয়ে এর সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করে দেন।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মদ খেয়ে অনেস্টির কথা বলার দাম নাই। আত্ন সমালোচনা করুন তাহলেই হবেন মানুষ’ (২৬ মার্চ ১৯৭৫) 

ইসলামে মদ জুয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ইসলামে মদ জুয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ইসলামের এই বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারীভাবে আইন করে এসব অপকর্ম নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং শাস্তির বিধান জারি করেছিলেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ), শবেকদর, শবেবরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা ধর্মীয় দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এবং উল্লিখিত দিবসসমূহের পবিত্রতা রক্ষার্থে সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন।

লেখক-ব্যাংকার ও সংস্কৃতিকর্মী

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন