ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ইউটিউব দেখে ‘থাই তরমুজ’ চাষ, ৬৫ দিনেই লাখপতি

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইউটিউব দেখে ‘থাই তরমুজ’ চাষ, ৬৫ দিনেই লাখপতি

কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো মাচায় চাষ হচ্ছে বারোমাসি তরমুজ। বাইরে কালো ভেতরে লাল রঙের এ ফলের নাম ব্ল্যাকবেরি। সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউপির বলরামপুরের কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন এই তরমুজ চাষ করছেন।
ইউটিউব দেখে ২০ শতাংশ জমিতে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ৬৫ দিনের ব্যবধানে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন আনোয়ার। এখন তিনি আরো জমি নিয়ে ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষ সম্প্রসারণ করছেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি বিভাগ তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। ফলন ও বিক্রি ভালো হওয়ায় আনোয়ারের মুখে এখন তরমুজের লাল টুকটুকে হাসি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউপির বলরামপুরে সড়কের পাশের ধানি জমির আইল ধরে কয়েক কদম হাঁটলেই চোখে পড়বে আনোয়ার হোসেনের ব্ল্যাকবেরি তরমুজ ক্ষেত।

কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউটিউবে দেখে আমি ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষে আগ্রহী হই। এরপর ২০ শতাংশ ধানি জমি তরমুজ চাষের জন্য প্রস্তুত করি। প্রথমে জমির মধ্যে মাটি উঁচু করে সারি করা হয়েছে। এরপর মাটির মধ্যে পানি যেন আটকে থাকতে না পারে, সে জন্য পলিথিন দেয়া হয়েছে। পলিথিন ছিদ্র করে ভেতরে থাইল্যান্ডের ব্ল্যাকবেরি তরমুজের বীজ লাগানো হয়েছে। তরমুজের চারা বড় হলে সেগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি মাচায় ছড়ানো হয়েছে। প্রথমে ফুল আসে। পরে একে একে কালো রঙের তরমুজ বেরিয়ে আসে। দুই মাসের মধ্যে তরমুজ পরিপক্ব হয়। কালো রঙের তরমুজের ভেতরের অংশ লাল বর্ণ, এর স্বাদও মিষ্টি।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও তরমুজ বিক্রি করে লাভ হওয়ায় বেশ আনন্দ লাগছে। এবার আরো বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করব।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ লতাপাতার মধ্যে মাচায় ঝুলে আছে তরমুজ। আনোয়ার একে একে তরমুজ কাটছেন। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ১০০-১২০ টাকায়। আশপাশের এলাকা ও কুমিল্লা শহরের মানুষ তরমুজ কিনতে তার ক্ষেতেই আসে।

কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার কাউছার আহমেদ বলেন, লোক মারফত খবর পেলাম আনোয়ার হোসেনের ক্ষেতে থাইল্যান্ডের ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষ হচ্ছে। এরপর তিনটি তরমুজ ১২০০ টাকায় কিনেছি।

সদর দক্ষিণ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলে কাজী আনোয়ার হোসেন প্রথম ব্ল্যাকবেরি প্রজাতির তরমুজ চাষ করছেন। প্রথমে তিনি ২০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন। এখন আরো জমি নিয়ে তরমুজ চাষ সম্প্রসারণ করবেন। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচে ৬৫ দিনে তিনি আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। অন্যরাও এ ধরনের তরমুজ চাষ করতে পারেন। এতে খরচ কম। ফলন ও লাভ বেশি।

গাজীপুর কথা

    আরো পড়ুন