ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আল্লামা সাঈদীর ধর্ষণের ইতিহাস

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২ মে ২০২০

আল্লামা সাঈদীর ধর্ষণের ইতিহাস

দক্ষিণের জনপদ পিরােজপুরে ৭১’র পুরাে নয় মাস এক মূর্তিমান আতংকের নাম ছিল দেউল্যা রাজাকার বা দেলু রাজাকার যার পুরাে নাম দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদী।  মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, দেশত্যাগে বাধ্য করা অগ্নিসংযােগ লুটসহ মানবতাবিরােধী এমন কোন অপরাধ নেই যা এই সাঈদী রাজাকারের দ্বারা সংঘঠিত হয় নি। দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম অভিযোগ ছিল ধর্ষণের। মুক্তিযুদ্ধে ৯মাস ব্যাপী ঐ এলাকায় যতগুলো ধর্ষণের ঘটনার ঘটেছে তার সবগুলোতেই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে জড়িত ছিল সাঈদী। সে নিয়মিত পাকিস্তানী মিলিটারীদেরকে সুন্দরী মেয়ে সরবরাহ করতো। এই মেয়েদের সবাই তার ফতোয়া মতে ছিল গনিমতের মাল। আসুন জেনে নিই দেলাওয়ার হােসাইন সাঈদীর ধর্ষণের কিছু ইতিহাস :

 

বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিজ বাড়িতে আটকে নিয়মিতভাবে ধর্ষণ: সাঈদী মুক্তিযুদ্ধকালে ৩ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারেরহাট বন্দরের বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। বিপদ সাহার বাড়িতেই আটকে রেখে অন্যান্য রাজাকারসহ সাঈদী ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। এক সময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

হোগলাবুনিয়া গ্রামের মধুসুধন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামীকে ধর্ষণ:  ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে হোগলাবুনিয়া গ্রামের মধুসুধন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামীকে আটক করে ধর্ষণ করে তৎকালীন দেইল্লা রাজাকার।  পিরোজপুরের ৮১ বছর বয়সী মধুসুধন ঘরামী দেইল্লা রাজাকার সম্পর্কে যে সাক্ষ্য দেয় তাক গা শিউরে ওঠার মত। মধুসুধন বলেন, “সে দিন আমি বাড়ি ফেরার পর আমার স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বললো, যে তোমাকে মুসলমান বানিয়েছে সে দেইল্লা রাজাকার এসেছিল। আমাকে ধর্ষণ করেছে। এই যন্ত্রণা আমি আর সইতে পারছি না, তুমি পালাও, আমার কথা ভেবনা।’’ ধর্ষণের শিকার বেদনার্ত স্ত্রীর কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পরে মধুসুধন। এবং এক সময় বলে বিগত ৮০ বছর ধরে আমি এই বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছি। কিছুদিন পরে আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পরে, তাঁর একটা কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু লোকের কানাঘুসার অপমান সইতে না পেরে আমার স্ত্রী ওই কন্যাটাকে নিয়ে একদিন ভারতে চলে যায়। সে আর ফিরে আসেনি"।

গৌরাঙ্গ সাহার তিন বোনকে সেনাক্যাম্পে নিয়ে ধর্ষণ: ২৫ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে উমেদপুর পাড়েরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার তিন বোন মহামায়া, অন্যরাণী ও কমলা রাণীকে সেনাক্যাম্পে নিয়ে ধর্ষণ। এছাড়া হিন্দুপাড়ার অসংখ্য নারীকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

পিরোজপুরের বিখ্যাত তালুকদার বাড়িতে লুটতরাজ ও ধর্ষণ: পিরোজপুরের বিখ্যাত তালুকদার বাড়িতে লুটতরাজ  শেষে ওই বাড়ি থেকে ২০-২৫ জন মহিলাকে ধরে এনে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে পাঠান সাঈদীর।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন