ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আবারো উন্মুক্ত করা হলো সবচেয়ে প্রাচীন পিরামিডটি

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১৬ মার্চ ২০২০

আবারো উন্মুক্ত করা হলো সবচেয়ে প্রাচীন পিরামিডটি

৪ হাজার ৭০০ বছর আগে প্রাচীন মিসরের তৃতীয় রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা জোজারের শাসনামলে একটি স্টেপ পিরামিড নির্মাণ করেছিলেন সে সময়কার স্থপতি ইমোটেপ। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এই পিরামিডটির পাথরের অবকাঠামো কালের বিবর্তনে ক্ষয়ে যাচ্ছিল বলে ১৯৩০ এর দশকে তা দর্শণার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।

পিরামিডটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেয় বৃটেনের সিনটেক কোম্পানি। তাদের তত্ত্বাবধানে ৯০ বছর পর আবারো সবচেয়ে প্রাচীন এই পিরামিডটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ‘জোজার’ নামের এই পিরামিডটি ২০০ ফুট উঁচু।

গবেষকরা বলছেন, এটি মিশরে তৈরি প্রথম পিরামিড ও বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ। সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি এই পিরামিডটি কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা এলাকায় নির্মাণ করা হয়। বড় সব আয়তাকার পাথরের মাধ্যমে পিরামিডটি তৈরি হয়। প্রাচীন মিশরের সম্রাট জোজার এর মরদেহ এই পিরামিডের নিচেই আছে বলে ধারণা করা হয়।

পিরামিডের কিছু ব্লক ও স্থাপনা শত শত বছরে দুর্বল হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সিনটেক কোম্পানি পিরামিডটির সংস্কারের দায়িত্ব পায়। বৃটেনের ইঞ্জিনিয়ার পিটার জেমস ২০১১ সাল থেকে পিরামিডটির সংস্কার কাজ শুরু করেন। পিরামিডটির মাঝখানে প্রায় ১০০ ফুট দীর্ঘ একটি চ্যাম্বার আছে, তবে সেখানে কোনো মমি পাওয়া যায়নি।

মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবোলি জানিয়েছেন, সবচেয়ে পুরোনো এই পিরামিডের সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ১০৪ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড (৬.৬৬ মিলিয়ন ডলার)। ২০১৪ সালে গুজব ছড়িয়েছিল যে, এই সংস্কার চলাকালে পিরামিডটির আরো ক্ষতি হয়েছে। তবে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গত বছর মিশর সরকারের তত্ত্বাবধানে সাক্কারায় গিজা পিরামিডের পাশে সাতটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, যেগুলো ৬ হাজার বছর পুরোনো।

গাজীপুর কথা

    আরো পড়ুন