ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আজ থেকে ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৯ মে ২০২০

আজ থেকে ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি

২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ শনিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতদিন এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা কেজি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রায় ৫০৫ স্পটে ট্রাকে এবং বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি এসব স্পটে টিসিবির অন্যান্য পণ্যও বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তাই করোনার মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এ দুরবস্থার মধ্যে প্রায় ৫০০ স্পটে ট্রাকে এবং বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শনিবার (আজ) থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। যা এতদিন বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।

রমজান মাস উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রাজধানীতে ১১৬টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। আর সারাদেশে ৫০০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রমজানের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। শুরুতে ঢাকায় ৫০ থেকে ৬০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। বাড়তে বাড়তে তা এখন ১১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি এলাকায় ৯৯টি ও সিটির বাইরে ১৭টি ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। একদিন অন্তর অন্তর ওই স্থানগুলোতে টিসিবির ট্রাক দাঁড়াচ্ছে। আর সারাদেশে এখন ৫০০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলছে।

টিসিবি জানিয়েছে, ট্রাক থেকে চিনি ৫০ টাকা (সর্বোচ্চ ৪ কেজি), মসুর ডাল ৫০ টাকা (সর্বোচ্চ ২ কেজি) ও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটার (সর্বোচ্চ ৫ লিটার) দরে কেনা যাবে। এছাড়া ছোলা ৬০ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

২০ মে পর্যন্ত টিসিবির এই কার্যক্রম চলার কথা রয়েছে। গত ৩১ মার্চ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, রমজান উপলক্ষে সারাদেশে ৩৫০টি ট্রাকে বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০, চট্টগ্রামে ১৬, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ১০টি ও জেলা সদরে চারটি করে টিসিবির ট্রাক থাকবে। পরে ধারবাহিকভাবে বেড়েছে টিসিবির ট্রাকের সংখ্যা।

এর আগে করোনার সময়ে সাধারণ ছুটিতেও টিসিবির কার্যক্রম চলছিল। ঢাকায় তখন ৫০ থেকে ৬০টি ট্রাকে এই বিক্রি কার্যক্রম চলছিল। তবে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় বাজার ও কলোনির দিকে টিসিবির ট্রাক ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি। পণ্য কিনলে বিনামূল্যে মাস্ক দিচ্ছে টিসিবি।

ঢাকা নগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রির সম্ভাব্য স্থান-প্রেসক্লাব, সচিবালয় গেট, যাত্রাবাড়ী, ইত্তেফাক মোড়, শান্তিনগর বাজার, শাহজাহানপুর বাজার, খামারবাড়ী, ফার্মগেট, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, মিরপুর-১, মাজার রোড, শ্যামলী মোড়/ন্যাম গার্ডেন, উত্তরা আব্দুল্লাপুর, ভিকারুননেসা ১০ নম্বর গেট/ইস্টার্ন গাউজিং গেট, বেগুনবাড়ী, মতিঝিল সরকারি কলোনি, ভাষানটেক বাজার, মধ্যবাড্ডা, পলাশী/ছাপড়া মসজিদ, জিগাতলা/ধানমন্ডি সরকারি কলোনি, রামপুরা বাজার, মাদারটেক/নন্দীপাড়া/কৃষি ব্যাংকের সামনে, আদাবর/মনসুরাবাদ, বাংলা কলেজ, শাহ সাহেব মাঠ, আজিমপুর বটতলা।

এছাড়া আশকোনা হজক্যাম্প, বাসাবো বাজার, আজমপুর, ডিসি অফিস, সাঁতারকুল, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিরপুর-২/১২, মাতুয়াল/সিদ্ধিরগঞ্জ, ইসিবি/কালশী, গাবতলী/টেকনিক্যাল, কাপ্তান বাজার, সোয়ারিঘাট/নবাবগঞ্জ সেকশন, বনশ্রী বাজার, কলমিলতা বাজার, কারওয়ান বাজার, দিলকুশা, মেরাদিয়া বাজার, নিপ্পন বটতলা, খিলগাঁও তালতলা, মুগদা, নিউমার্কেট, টঙ্গীবাজার, শনির আখড়া, বছিলা, কামরাঙ্গীর চর, লোহার পুল, সারুলিয়া বাজার, গঙ্গী বাজার, ৬০ ফিট ভাঙ্গা মসজিদ, গুলিবাগ খোকন কমিউনিটি সেন্টার, গুলশান ভাটারা বাজার, সাভার বাজার, আনন্দ সিনেমা হল, মগবাজার ফরচুন মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, মালিবাগ বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার ও খিলক্ষেত বাজার।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন