ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আখাউড়ায় ধান কেটে দিলো ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৬ এপ্রিল ২০২০

আখাউড়ায় ধান কেটে দিলো ছাত্রলীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এ মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে থাকায় এলাকায় ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক অসহায় কৃষক তাদের জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। এ অবস্থায় কৃষকের লোকসান কমানোর জন্য তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ধান কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রানা আহমেদের নেতেৃত্বে ১১জন নেতাকর্মী ধান কাটার কাজে অংশ নেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দরিদ্র কৃষক মো.আকরাম মোল্লার জমির ধান কেটে তারা বাড়ি পৌঁছে দেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে শ্রমিক সংকটসহ কৃষি মজুরি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকা ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। যেখানে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩শ’ টাকা এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ টাকায়। ফলে কৃষকরা মাত্রারিক্ত টাকায় শ্রমিক জোগার করতে দিশাহারা হয়ে পড়ায় ধান নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে এলাকার দরিদ্র কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ায়।  

ছাত্রলীগ নেতা মো. রানা আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকায় অসহায় কৃষকের জমির পাকা ধান কাটতে পারছে না। জমিতেই নষ্ট হতে চলেছে পাকা ধান। মানবিক কারনে আমরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করা হয়। সে আরো বলেন, শ্রমিকের অভাবে যে সমস্ত দরিদ্র কৃষকরা  জমির ধান কাটতে না পারবে তাদেরকে ধান কাটাসহ বাড়িতে পৌঁছানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এই দুর্দিনে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়াতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। 

কৃষক মো. আকরাম মোল্লা বলেন, এ মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়। শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছি না। জমিতে নষ্ট হতে চলছে পাকা ধান। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটার সাহায্য করেছে তা কখনো ভেলার নয়। এদিকে স্থানীয় লোকজন ছাত্রলীগের এ ব্যতিক্রমি এমন কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করেছেন।  

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপিত শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু  বলেন ছাত্রলীগ যে কোনো সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সব সময় লিপ্ত রয়েছে। দরিদ্র কৃষকদের ক্ষতি কমাতে জমির পাকা ধান মূলত তারা কাটছেন। আশা করছি এ দুর্দিনে সমাজের প্রতিটি মানুষ কৃষকের পাশে এসে দাঁড়াবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, এ উপজেলায় আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হবে। ইতিমধ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধান কাটার আধুনিক মেশিন কম্বাইন্ড হারবেষ্টার দেয়া হয়েছে। আশা করছি এলাকায় ধান কাটা নিয়ে সমস্যা হবে না।

গাজীপুর কথা