ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আইনুলের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল নববধূর, চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৪ অক্টোবর ২০২০

আইনুলের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল নববধূর, চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার নববধূর সঙ্গে আসামি আইনুলের পূর্ব পরিচয় ছিল। এরই সূত্র ধরে এমসি কলেজের ফটকে তাদের দেখা হয়। এ সময় মামলার আরেক আসামি রাজন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। 
আইনুলের সঙ্গে নববধূর সাক্ষাত শেষে বাড়ি ফেরার সময় প্রধান আসামি সাইফুরসহ অন্য আসামিরা তাদের ঘিরে ফেলে। শনিবার বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার আসামি আইনুলের জবানবন্দিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। 

শনিবার সিএমএম-২ এর বিচারক শারমিন খানম নিলার আদালতে আইনুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এদিন আইনুল ছাড়াও আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও রাজন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

আদালতে আইনুল জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় রয়েছে। ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে কথা হয় এবং বিকেলে এমসি কলেজ ফটকে তাদের দেখা হয়। দেখা করার জন্য নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে প্রাইভেটকারে এসেছিলেন। দেখা হওয়ার পর নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে করে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ অন্যরা তরুণীকে ঘিরে ধরে। এরপর তারা জোরপূর্বক নববধূকে গাড়িতে তুলে আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে গাড়ির ভেতরে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এর আগে নববধূর স্বামী এবং ধর্ষণ মামলার বাদী একাধিক গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপেও আইনুদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পূর্বপরিচয় থাকার কথা স্বীকার করেছেন। 

এদিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গণধর্ষণ মামলার আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুল। শনিবার বেলা ১টা থেকে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ১ম আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুল ইসলামের আদালতে রাজন, সিএমএম -২ এর বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে শাহ মাবুবুর রহমান রনি ও সিএমএম -২ এর বিচারক শারমিন খানম নিলার আদালতে আইনুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, তিন আসামি আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার একই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন ও রবিউল। তারাও গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে কয়েক যুবক এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয়সহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়। 

মামলার আসামিরা হলেন বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম।  

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন